শরীরের সকল কাজের কাজী হল হরমোন। খিদে, ঘুম, মেজাজ থেকে শুরু করে রক্তচাপ- সবই থাকে হরমোনের হাতে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হলে একাধিক সমস্যার শিকার হয় শরীর। জীবনধারার মান বদলাতেও ভূমিকা রয়েছে হরমোনের। আর তাই এই হরমোনের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি থাকা প্রয়োজন।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিলে শরীরে একাধিক সমস্যা হয়। কথায় কথায় মেজাজ হারিয়ে ফেলা, খেতে ইচ্ছে না করা. ডিপ্রেশন, ত্বকের সমস্যা এসব তো থাকেই। সঙ্গে প্রভাব পড়ে আমাদের ঋতুচক্রেও। গর্ভাবস্থায় হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সবচাইতে বেশি হয়। তবে কোভিড পরবর্তী সময়ে হরমোনের সমস্যার শিকার একাধিকজন। থাইরয়েড থেকে PCOS-এই সব সমস্যা আগের তুলনায় অনেকখানি বেড়েছে। এবং এই সব সমস্যার জন্যও দায়ী কিন্তু হরমোন।
বয়ঃসন্ধিকালে সাধারণত শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে মুখে ব্রণ দেখা দেয়। এটি এই সমস্যার প্রথম লক্ষণ। সঙ্গে বিরক্তি, তিরিক্ষি মেজাজ, মনযোগে সমস্যা এসব তো থাকেই। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ বেশি হয়। কিন্তু মেয়েদের যদি প্রায়শই ব্রণ হয় তাহলে তা পলিসিস্টিক ওভারির লক্ষণ।
মেনোপজের সময় অনেক মহিলার দ্রুত ওজন কমে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, ক্লান্ত লাগে, কাজের গতি শ্লথ হয়ে যায়- এইসবই হরমোনের খেলা। কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগা, খুব বেশি ঘাম হলে এবং থাইরয়েড বাড়লে কিন্তু অবহেলা নয়। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সব মানুষকেই একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। শরীরের বিপাকীয় হার কমিয়ে দেয়। যার ফলে স্থূলতার মত সমস্যা আসে। শরীরে চর্বি জমা হয়। ওজন বাড়তে থাকে। হঠাৎ করেই মোটা হতে থাকলে তার পেছনে হাত থাকে হরমোনের। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা শুরু করুন। ডায়েটে আনুন পরিবর্তন। এছাড়াও বিভিন্ন থেরাপিরও সাহায্য নিতে পারেন। পছন্দের গান শোনা, একমনে কোথাও বসে থাকা এবং সুগন্ধীর ব্যবহার মুক্তি দিতে পারে হরমোনের এই সব সমস্যা থেকে।