শরীরের জন্য গ্রিন টি কতখানি উপকারী এ নিয়ে একাধিক বিতর্ক থাকলেও অধিকাংশ সমীক্ষাতে দেখা গিয়েছে মেদ কমাতে ভূমিকা রয়েছে এই চায়ের। আজ থেকে বহু বছর আগে চিনের অধিবাসীরা এই চা খেতেন। যে কারণে তাঁদের শরীরে অতিরিক্ত কোনও মেদ ছিল না। সম্প্রতি একটি সমীক্ষা বলছে রক্তশর্করা কমাতেও ভূমিকা রয়েছে গ্রিন টি-এর। গবেষণা বলছে, ২০৪৫ সালের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৭০ কোটিতে। সঙ্গে বাড়বে হার্ট অ্যার্টাক, কিডনি, স্ট্রোক এবং চোখের নানা সমস্যা।
নিউট্রিশন অ্যান্ড মেটাবলিজম জার্নালে প্রকাশিত ২৭টি ট্রায়ালের মেটা-বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে গ্রিন টি রক্তে গ্লুকোজের ঘনত্বের উপর প্রভাব ফেলে। শুধুমাত্র উপবাসের সময় রক্তের ইনসুলিনের উপরই যে প্রভাব ফেলে তাই নয়, হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে কমিয়ে দিতে পারে রক্তশর্করার পরিমাণও।
চিনের হুয়াজং ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির একদল গবেষক মোট ২৭ টি পরীক্ষা চালান। সেই পরীক্ষার পর তাঁরা দেখেন মোট ২,১৯৪ জনকে নিয়মিত ভাবে গ্রিন টি দেওয়া হয়। এদের মধ্যে কিছুজনের ব্লাডসুগারের সমস্যা ছিল। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই রক্তে সুগারের মাত্রা আগের তুলনায় কমেছে।
তবে এই গ্রিন টি কতটা গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমাতে পারে সে নিয়ে আরও বিশদে গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন গবেষকরা। গ্রিন টি- এর এই তাজা পাতা ব্যবহার করে বিভিন্ন ওষুধও তৈরি করা হয়েছে। আর এই ওষুধ আজ নয়, ইতিহাস বলছে বহু প্রাচীন কাল থেকেই এই চা-পাতা ব্যবহার করা হয় ওষুধ তৈরিতে।
গ্রিন টি এর মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, ফ্ল্যাভিনয়েড সহ-একাধিক উপকারী যৌগ। যা ডায়াবেটিস রুখে দিতে সাহায্য করে।