Diabetes: আয়ুর্বেদের এই পানীয়ে চুমুক দিন সকাল-সন্ধে, ১৫ দিনের মধ্যে বশে থাকবে সুগার

Blood Sugar Level: ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েটের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এমন খাবার খেতে হবে যার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম।

Diabetes: আয়ুর্বেদের এই পানীয়ে চুমুক দিন সকাল-সন্ধে, ১৫ দিনের মধ্যে বশে থাকবে সুগার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 06, 2023 | 2:10 PM

এখন ঘরে ঘরে ডায়াবেটিসের রোগী। রোজের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিসে একবার আক্রান্ত হলে হাজার চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করেও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে সম্ভব নয়। হয়তো আপনি ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন কিন্তু সম্পূর্ণরূপে ডায়াবেটিস থেকে পিছু ছাড়ানো সম্ভব নয়। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন হরমোন কম পরিমাণে নিঃসরণ হলেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। তখন শরীরে জড়াল হতে শুরু করে ডায়াবেটিসের উপসর্গগুলো। কিন্তু শরীরে একবার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে বশে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে কিডনি, ত্বক, চোখ, হার্টের সমস্যা দেখা দেয়।

ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েটের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এমন খাবার খেতে হবে যার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। যে সব খাবারে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম সেগুলো ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আদর্শ। এতে চট করে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না। ডায়েট ও শরীরচর্চার পাশাপাশি আপনি বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকা মেনে চলতে পারেন।

ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী দারুচিনি। আপনি চা কিংবা কফিতে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে পান করতে পারেন। দারুচিনির মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ডায়াবেটিক গুণ রয়েছে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আপনি দারুচিনি দিয়ে ডিটক্স ওয়াটার বানিয়েও পান করতে পারেন। দারুচিনির পাশাপাশি আপনি অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের সাহায্য নিতে পারেন। এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করুন। এটা দিনে দু’বার খেতে হবে। কিন্তু এক টানা ২১ দিন অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খাবেন না।

ডায়াবেটিসের রোগীরা রোজ সকালে খালি পেটে মেথি ভেজানো জল পান করুন। আগের দিন রাতে এক গ্লাস জলে এক চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে উঠে ওই মেথি ভেজানো জল আপনি খালি পেটে পান করুন। মেথি ভেজানো জল পান করলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এতে হজম স্বাস্থ্য উন্নত হয়।

আয়ুর্বেদিক পানীয়র উপর ভরসা রাখতে পারেন। শুকনো নিমপাতা, মেথি, শুকনো আমলকি, ত্রিফলা, হরিতকী, শুকনো করলা একসঙ্গে নিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এই আয়ুর্বেদিক পাউডার সুগার লেভেলকে বশে রাখতে সহায়ক। এক গ্লাস জলে এক চামচ করে এই আয়ুর্বেদিক পাউডার মিশিয়ে খান। এতে ১৫ দিনের মধ্যে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।