মহিলারা তাঁদের শারীরিক সমস্যা নিয়ে কথা বলতে বরাবরই সঙ্কোচ বোধ করেন। লজ্জা পান। খোলাখুলি ভাবে বাড়িতেও কথা বলতে চান না। আর মনে মধ্যে এই লজ্জা, ভয় থাকার ফলেই যে কোনও সমস্যা জটিল আকার নেয় দ্রুত। তেমনই একটি হল সাদা স্রাবের সমস্যা। White Vaginal Discharge সেই অর্থে দেখতে গেলে খুবই সাধারণ। কিন্তু এর পরিমাণ বাড়লে তখনই পড়তে হয় জটিল সমস্যায়।
সাদা স্রাব বা লিউকোরিয়া প্রায় প্রতিটা মহিলারই নয়। শারীর বৃত্তীয় বা জীবন শৈলী সংক্রান্ত কারণে এটি হলে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। তবে উদ্বেগের কারণ তখন যকন এর পরিমাণ বেশি হয়। রঙে পরিবর্তন আসে আর সেই সঙ্গে আঁশটে গন্ধ থাকে।
এই স্রাব যদি ধূসর, বাদামী বা সবুজ রঙের হয় এবং সেই সঙ্গে দুর্গন্ধ থাকে তাহলে একেবারেই হেলাফেলা করবেন না। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পিরিয়ডের ঠিক আগে কিংবা মানসিক চাপ বেশি থাকলে এই সাদা স্রাব বেশি হয়। অন্যান্য নানা কারণেও হতে পারে। বয়ঃসন্ধিকালে, গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন, যৌন মিলনের সময়কালে, এমনকী যৌন আবেগের কারণেও নারী শরীর থেকে সাদা স্রাব নির্গত হতে পারে।
শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিলে, পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে, অতিরিক্ত চাপের মধ্যে থাকলে সেখান থেকেও হতে পারে হোয়াইট ডিসচার্জ। এছাড়াও অপরিচ্ছন্ন থাকলে, ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে অর্ন্তবাস পরলে, পিরিয়ডের সময় একটানা ন্যাপকিন পরে থাকলে সেখান থেকেও হতে পারে এই ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন।
সিস্টের সমস্যার জন্য অনেকেই একটানা হরমোনের ওষুধ খান। সেই ওষুধ থেকেও দেখা দিতে পারে সমস্যা। তখন সাদা স্রাব যেমন বেশি হয় তেমনই গন্ধযুক্ত সাদা স্রাবের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। সাদা স্বার অস্বাভাবিক নয়। তবে কোনও রকম সমস্যা দেখলেই কুন্ঠাবোধ না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাঁর সঙ্গে কথা বলুন। খুব সামান্য এই সমস্যা সব মহিলারই থাকে। নিয়মিত চিকিৎসায় তা ঠিক হয়ে যায়।