Delmicron versus Omicron: ডেলমিক্রন নাকি ওমিক্রন, কোনটা বেশি সংক্রামক? জেনে নিন…

মাস্ক, স্যানিটাইজার অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে যাবতীয় নিয়ম মানলে তবেই ঠেকানো যেতে পারে সংক্রমণ

Delmicron versus Omicron: ডেলমিক্রন নাকি ওমিক্রন, কোনটা বেশি সংক্রামক? জেনে নিন...
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 02, 2022 | 7:17 PM

কোভিড-১৯ ভাইরাস বারবার নিজেকে ভাঙছে, অভিযোজিত হচ্ছে। রূপ পরিবর্তন করছে। ২০২০ সালের একেবারে শুরুর দিক থেকেই কোভিড ভাইরাস নানা ভাবে নিজেকে পরিবর্তন করেছে। কোভিডের দ্বিতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার প্রভাবে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে একাধিকের। গত এক মাসের মধ্যে কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের প্রায় ৫৫টিরও বেশি দেশে। ডেল্টার থেকেও তা বহুগুণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। একদিনের মধ্যেই কিন্তু সংখ্যাটা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। তবে ওমিক্রনের পাশাপাশি বর্তমানে চোখ রাঙাচ্ছে ডেলমিক্রন। বর্তমানে ইংল্যান্ড এবং আমেরিকায় এই ডেলমিক্রনে অনেকেই সংক্রমিত হয়েছেন। ডেল্টা এবং ওমিক্রনের সংমিশ্রণে এই ভাইরাসকেই বলা হচ্ছে ডেলমিক্রন। তবে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট অর্থাৎ ডেলমিক্রন ওমিক্রনের থেকেও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করবে কিনা বা কতটা বেশিং সংক্রমণ ছড়াবে তা কিন্তু এখনও স্পষ্ট ভাবে কিছুই জানা যায়নি। এছাড়াও ওমিক্রনের প্রভাবে আরও কত জটিলতা তৈরি হতে পারে তাও এখনও স্পষ্ট নয়।

তবে ডেলমিক্রন কি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট?

কোভিড-১৯ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট হল ওমিক্রন। ওমিক্রনে এখনও পর্যন্ত অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম এই সংক্রমণ ধরা পড়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায় এটি কোভিডেরই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ডেলমিক্রন কিন্তু করোনার কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্ট নয়। ডেল্টা আর ওমিক্রনের মিশ্র প্রভাবেই প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ডেলমিক্রনে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এখনও পুরোপুরি বিদায় নেয়নি, আর সেখান থেকেই ওমিক্রনের সংঙ্গে সংমিশ্রণে তৈরি হচ্ছে জটিলতা। যদিও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এখনও এই ডেলমিক্রন বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। কিন্তু কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিৎসকরা।

যাঁরা ডেল্টায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরাও কিন্তু পুনরায় আক্রান্ত হতে পারেন ডেলমিক্রনে। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এমনটাই।  ডেলমিক্রনে আক্রান্তদের এখনও নির্দিষ্ট কোনও রোগ লক্ষণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু ওমিক্রনে আক্রান্ত হবার পরও থেকে যাচ্ছে ডেলমিক্রনে আক্রান্তের সম্ভাবনা। আর এর জন্য দায়ী কিন্তু মানুষই। করোনা বিষয়ক সচেতনতা না মানলে, মাস্কের ব্যবহার না করলেই বাড়বে সংক্রমণের সুযোগ।

ওমিক্রন কিংবা ডেলমিক্রনের নির্দিষ্ট কোনও উপসর্গ নেই। জ্বর, কাশি, ক্লান্তিবোধ, গলাব্যথা, শরীরে ব্যথা এবং কিছুজনের ক্ষেত্রে সামান্য গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়া। এই হল লক্ষণ। ডেল্টা সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছিল। অক্সিজেনের অভাবে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ওমিক্রন যে ভাবে এগোচ্ছে, তাতে সুনামির ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকী তাতে ভেঙে পড়তে পারে স্বাস্থ্য পরিষেবা, সেই সতর্কতার কথাও তাঁরা জানিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী ১২ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ পেরিয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের হদিশ মিলেছে রাজস্থানে।

উৎসবের মরশুনে বিশ্ব জুড়েই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। যে কারণে অনেক দেশই আবার আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটছে। প্রাপ্তবয়স্ক থেকে শিশু যে কোনও কেউ আক্রান্ত হতে পারে ওমিক্রনে। কোভিডের নিয়ম না মানলেই বিপদ, বারবার বলছেন চিকিৎসকরা। যাঁদের নানা শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাঁদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। বুস্টার ডোজ যত দ্রুত সম্ভব নিতে পারেন ততই ভাল।

আরও পড়ুন: New omicron symptoms: জ্বর-মাথা ব্যথার পাশাপাশি দেখা দিতে পারে এই দুই লক্ষণও! ওমিক্রন নিয়ে নয়া রিপোর্ট বিশেষজ্ঞদের