নিয়ন্ত্রণহীন জীবন, মাত্রাতিরিক্ত চাপ এবং ফাস্টফুডের লোভই বাড়িয়ে দিচ্ছে সুগার। রোজ বিশ্বজুড়ে বাড়ছে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তের নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। শুধুমাত্র সুগার থেকে প্রতি বছর অসংখ্য মৃত্যু হয় আমাদের দেশে। তবুও সচেতন নন মানুষ। রোজ সুগার নিয়ে প্রচুর লেখালেখি যে ভাবে হয় সেই ভাবে ছড়িয়ে পড়েনি সচেতনতা।
সুগারের সমস্যা থাকলে কার্বোহাইড্রেট কম পরিমাণে খেতে বলা হয়। চিনি, ভাত, আলু একেবারেই এড়িয়ে চলতে বলা হয়। তবে অনেক পুষ্টিবিদই মনে করেন প্রোটিন, ফাইবার আর ফ্যাটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভাত খেলে ক্ষতি নেই। যা-ই খান না কেন, তা পরিমাণে অল্প খান। কোনও কিছুই বেশি খাওয়া ঠিক নয়।
রাজমা-রাইস উত্তর ভারতের প্রিয় একটি খাবার। রাজমায় প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। তবে এক্ষেত্রে ডাল মাখনি নয়, বাড়ির তৈরি ডাল ভাত খান। মুগ-মুসুর-ছোলার ডাল সব মিশিয়েও বানাতে পারেন। রাজমার GI ৩৫। তাই বলে রোজ খাবেন না। তখন ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে পারে।
তবে যদি টকদই এর সঙ্গে ভাত মিশিয়ে খান তাহলে কমতে পারে রক্তশর্করা। এছাড়াও বানিয়ে নিতে পারেন সাউথ ইন্ডিয়ান স্টাইলের কার্ড রাইস। এই ভাত কিন্তু সুগার রোগীদের জন্য ভাল।
পোলাও খেতে ইচ্ছে করছে? অল্প ভাত, পছন্দের সবজি আর পনিরের টুকরো মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন। ভাত বানিয়ে নিন। এবার সামান্য তেলে ফ্রাই করে নিলেই তৈরি রাইস।
সব থেকে ভাল মাছ ভাত। বিশেষজ্ঞদের মতে রোজ মাছ-ভাত খেলে হুড়মুড়িয়ে নামবে সুগার। শরীরও থাকবে সুস্থ। তাই মেছো বাঙালিরা ভাতের পরিমাণ একটু কমান। বেশি করে সবজি আর মাছ খান। চিন্তা নেই। বাড়বে না সুগার।