Termination of Pregnancy : ১৭ বছরের ধর্ষিতাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল দিল্লি হাইকোর্ট

Delhi High Court: নির্যাতিতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল, যেহেতু সে এখনও নাবালিকা, এই বয়সে তার পক্ষে গর্ভধারণ করা সম্ভব নয় এবং সন্তানের দায়দায়িত্ব পূরণের জন্যও কোনওরকমভাবে সে প্রস্তুত নয়।

Termination of Pregnancy : ১৭ বছরের ধর্ষিতাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল দিল্লি হাইকোর্ট
দিল্লি হাইকোর্টের বড় সিদ্ধান্ত (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 05, 2021 | 9:26 PM

নয়া দিল্লি: ১৭ বছর বয়সি কিশোরীকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। ৬ মাসের (২৪ সপ্তাহ) গর্ভবতী ওই নির্যাতিতাকে চিকিৎসাবিধি মেনে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশপাশি, ভ্রুণের ডিএনএ-র নমুনা সংরক্ষণের জন্যও বলা হয়েছে, যাতে পরবর্তী সময়ে তা ফরেন্সিক পরীক্ষায় ব্যবহার করা যায়।

নির্যাতিতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল, যেহেতু সে এখনও নাবালিকা, এই বয়সে তার পক্ষে গর্ভধারণ করা সম্ভব নয় এবং সন্তানের দায়দায়িত্ব পূরণের জন্যও কোনওরকমভাবে সে প্রস্তুত নয়। তাই তার গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি বিশেষ মেডিকেল বোর্ডও কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা করে জানিয়েছিল, তার কোনওরকম কোমর্বিডিটি নেই এবং অনুমতি পাওয়া গেলে গর্ভপাতে কোনও সমস্যা নেই।

নির্যাতিতা কিশোরীর আবেদন এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি মেডিকেল বোর্ডের বক্তব্য শোনার পর দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি মুক্তা গুপ্ত জানিয়েছেন, “মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে, এইমসের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্টকে অনুরোধ করা হয়েছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবেদনকারীর গর্ভপাতের ব্যবস্থা করার জন্য। গর্ভপাতের পর ভ্রূণের ডিএনএর নমুনা পরবর্তী সময়ে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।”

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৩ মে সকাল ১০ টা নাগাদ বাড়িতে কাউকে কিছু না বলেই বেরিয়ে গিয়েছিল কিশোরী। কোথায় গিয়েছে, কেউই জানত না। মোবাইল ফোনটাও সুইচড অফ ছিল। এরপরই কিশোরীর মা পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাঁর সন্দেহ হয়, মেয়েকে কেউ অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে।

আদালতে শুনানি চলাকালীন জানানো হয়, ওই ঘটনার তিন দিন পরে কিশোরী নিজে থেকেই বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু সেই সময় ওই কিশোরী কাউকে জানায়নি, সে ধর্ষিত হয়েছে। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিজের বয়ান দেওয়ার সময় কিশোরী স্বীকার করে, সে নির্যাতিত হয়েছে এবং সে গর্ভবতী।

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি ২৮ অক্টোবর এইমসকে নির্দেশ দেয় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠনের জন্য। ওই মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়, কিশোরীর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য এবং গর্ভপাত হলে তার কোনও সমস্যা হবে কি না তাও জানাতে বলা হয়।

মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা আদালতে জানিয়েছেন, কিশোরী এবং তার পরিবারের সদস্যদের এই সময় গর্ভাবস্থায় কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে, তা বুঝিয়ে বলা হয়েছে এবং তারা গর্ভপাতের জন্য রাজি।

আরও পড়ুন : Srinagar-Sharjah flight: কোনও বদল নেই পাকিস্তানের! বিমান চালাতে কূটনৈতিক স্তরে কথাবার্তা চালাচ্ছে ভারত

আরও পড়ুন: Kashmir: জওয়ানদের তৎপরতায় ভেস্তে গেল জঙ্গিদের হাসপাতালে হামলার ছক

আরও পড়ুন: Delhi AQI: দীপাবলি পরবর্তী রাজধানীতে বাতাসের গুণগত মান বিগত ৫ বছরে সর্বনিকৃষ্ট