Fraud Case: নাইজেরিয়ান যুবকের বন্ধুত্বের ফাঁদে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা খোয়ালেন গুরুগ্রামের মহিলা
Fraud Case: শুরুটা হয়েছিল গতবছরে। ইনস্টাগ্রামে। গুরুগ্রামের এক মহিলার সঙ্গে আলাপ জমায় প্রতারক। নিজের পরিচয় দেয় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ়ের পাইলট হিসেবে। মহিলার মন জিততে বেশি খাটনি করতে হয়নি প্রতারককে।
নয়া দিল্লি: ইনস্টাগ্রামে বন্ধুত্ব। তারপর ক্রমেই বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। আর সেই বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়েই এক মহিলার থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক নাইজেরিয়ান যুবকের থেকে। ঘটনাটি ঘটেছিল কয়েক মাস আগে। গত ১০ এপ্রিল মানেসর থানায় পুলিশের কাছে এই নিয়ে অভিযোগও জানিয়েছিলেন প্রতারিত ওই মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দুই নাইজেরিয়ানকে গ্রেফতার (Nigerian Arrested) করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম ইবুকা ফেলিক্সি এবং চুকওয়াকা ইউয়ের। দিল্লির নিহাল বিহার এলাকা থেকে ওই দুই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে পুলিশ। অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করে চারদিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।
ওই নাইজেরিয়ান কীভাবে এই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল? অনেক দিনের পরিকল্পনা নিয়ে আসরে নেমেছিল ওই যুবক। শুরুটা হয়েছিল গতবছরে। ইনস্টাগ্রামে। গুরুগ্রামের এক মহিলার সঙ্গে আলাপ জমায় প্রতারক। নিজের পরিচয় দেয় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ়ের পাইলট হিসেবে। মহিলার মন জিততে বেশি খাটনি করতে হয়নি প্রতারককে। অল্প দিনের মধ্যেই বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। প্রতিদিনই কথাবার্তা হতে থাকে। এভাবে চলতে চলতেই একদিন প্রতারক ওই মহিলাকে জানায়, সে একটি গিফ্টের পার্সেল পাঠাচ্ছে তাঁর জন্য। তাতে গয়না, আইফোন রয়েছে জানায়। সে কথা শুনে প্রথমে তো বেশ উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন ওই মহিলা। তারপর গত ডিসেম্বরের ৬ তারিখ প্রতারক যুবক তাঁকে ফোন করে। বলে, তাঁর পার্সেলটি পৌঁছে গিয়েছে এবং ট্যাক্স বাবদ ৩৫ হাজার টাকা লাগবে। সেই মতো মহিলাও কিছু না বুঝেই ৩৫ হাজার টাকা প্রতারকের দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফেলে দেয়।
কিন্তু এরপর থেকে মহিলার কাছে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে, টাকা চাওয়া হতে থাকে। কখনও কোনও কর হিসেবে তো আবার কখন কোনও ক্লিয়ারেন্সের খরচ বাবদ, আবার কখনও জরিমানা হিসেবে। এভাবে সব মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা দিয়ে দেওয়ার পর মহিলা বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এরপর তিনি পুলিশের কাছে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত সোমবার দুই নাইজেরিয়ান যুবককে দিল্লির নিহাল বিহার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের থেকে একটি চেকবই, ১৬টি পাসবুক, ২৫টি এটিএম কার্ড, সাতটি মোবাইল ও প্রচুর সিমকার্ড, একটি ল্যাপটপ, একটি স্কুটার ও ১০ হাজার টাকা নগদে পাওয়া যায়।