Airbag: গাড়িতে ৬ এয়ারব্যাগ থাকার নিয়ম এক বছর পিছিয়ে দিল কেন্দ্র
Nitin Gadkari: ২০২২ সালের ১ অক্টোবর থেকে সমস্ত আট আসনের গাড়িতে এয়ারব্যাগ থাকা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। সেই সময়সীমার পরিবর্তনের কথাই জানালেন গড়কড়ি।
নয়াদিল্লি: যাত্রীবাহী গাড়িতে ৬টি এয়ারব্যাগ থাকার সিদ্ধান্ত কার্যকর করার সময়সীমা বাড়াল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে গাড়িতে ৬টি এয়ারব্যাগ থাকা বাধ্যতামূলক করা হবে। এর আগে ২০২২ সালের ১ অক্টোবর থেকে সমস্ত আট আসনের গাড়িতে এয়ারব্যাগ থাকা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। সেই সময়সীমার পরিবর্তনের কথাই জানালেন গড়কড়ি। বৃহস্পতিবার টুইট করে গড়কড়ি লিখেছেন, “গাড়ির মডেল এবং দাম যাই হোক, মোটর গাড়িতে ভ্রমণের সময় যাত্রীদের নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।” এর পরই এয়ারব্যাগের ব্যাপারে তিনি লিখেছেন, “বিশ্বজুড়ে সরবরাহ শৃঙ্খলে সীমাবদ্ধতার প্রভাব গাড়ি শিল্পেও পড়েছে। সেই দিকটি মাথায় রেখে যাত্রীবাহী গাড়িতে ৬টি এয়ারব্যাগ থাকার সিদ্ধান্ত ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।”
Considering the global supply chain constraints being faced by the auto industry and its impact on the macroeconomic scenario, it has been decided to implement the proposal mandating a minimum of 6 Airbags in Passenger Cars (M-1 Category) w.e.f 01st October 2023.
— Nitin Gadkari (@nitin_gadkari) September 29, 2022
পথ দুর্ঘটনায় টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্য়ুর পর থেকেই গাড়িয়ে যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে চর্চা হয় বিস্তর। এ নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনাও শুরু হয়। এর পর সেপ্টেম্বর থেকেই গাড়িতে থাকা সমস্ত যাত্রীর ক্ষেত্রে সিটবেল্ট পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। এই নিয়ম না মানলে জরিমানা করা হবে বলেও জানানো হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। এর পরই এয়ারব্যাগ থাকার বিষয়টিও অক্টোবর থেকে চালুর কথা জানানো হয়। তা এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হল।
৪ সেপ্টেম্বর মুম্বই-আহমেদাবাদ হাইওয়েতে পালঘরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সাইরাস মিস্ত্রির গাড়ি। মিস্ত্রি ছাড়াও সেই গাড়িতে আরও তিন জন ছিলেন। তখন তাঁর গাড়ি একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। সেই দুর্ঘটনায় সাইরাস মিস্ত্রি এবং তাঁর বন্ধু জাহাঙ্গির পান্ডোলের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। গুরুতর আঘাত লেগেছিল তাঁদের। দুজনেই পিছনের আসনে বসেছিলেন। গাড়ির সামনের আসনে থাকা অনহিতা পান্ডোলে এবং দারিয়াস পান্ডোলে দুর্ঘটনায় গুরুতর আঘাত পেলেও প্রাণে বাঁচেন। এর পর জানা যায়, সিটবেল্ট পরে থাকায় সামনের আসনের এয়ারব্যাগ খুলেছিল। কিন্তু সিটবেল্ট না পরায় পিছনের আসনের এয়ারব্যাগ কাজ করেনি। তা না করাতেই সাইরাস গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।