জীবন থেকে পুরোপুরি ‘জামিন’ পেলেন সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামী
Activist Stan Swamy Passed Away: রবিবার থেকেই ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন তিনি। আজ সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।
মুম্বই: দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন, আদালতেও জানিয়েছিলেন অসুস্থতার কথা। তবে সরকারি হাসপাতালে খারাপ অভিজ্ঞতার কারণে ভর্তি হতে নারাজ ছিলেন তিনি। দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে সোমবার প্রয়াত হলেন সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামীর (৮৪)। আদিবাসী অধিকারের জন্য তিনি জীবনের দীর্ঘ সময় লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। ভীমা-কোরেগাঁও (Bhima-Koregaon Case) হিংসা মামলায় তিনি প্রায় এক বছর ধরে জেলে বন্দি ছিলেন।
সেমবার স্ট্যান স্বামী(Stan swamy)-র আইনজীবী বম্বে হাইকোর্টে জানান, গতকাল থেকেই ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন তিনি। এ দিন সকালে তাঁর মৃত্য়ু হয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ীই গত ২৮ মে থেকে মুম্বইয়ের হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই বয়সজনিত কারণে নানা রোগের চিকিৎসা চলছিল।
ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ৮৩ বছরের খ্রিস্টান মিশনারি স্ট্যানকে গত বছরের অক্টোবর মাসে গ্রেফতার করে এনআইএ (NIA)। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে পুণের ভীমা-কোরেগাঁওয়ে মাওবাদীদের সাহায্যে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনায় মাওবাদী ঘনিষ্ঠ সংগঠন এলগার পরিষদও জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র তরফে স্ট্যান স্বামীর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগও করা হয়।
স্ট্য়ান স্বামী ও তাদের সঙ্গীদের আদালতের নির্দেশে নভি মুম্বইয়ের তালোজা জেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা বারংবার জেলের অব্যবস্থা ও অপর্যাপ্ত চিকিৎসাব্যবস্থার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। মে মাসে এলগার পরিষদ-মাওবাদী সংযোগ মামলায় ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারপতি এসজে কাঠাওয়ালা ও এসপি তাভাডের সামনে পেশ করা হয় স্ট্যান স্বামীকে। সেখানে স্ট্য়ান স্বামী জানান, জেলবন্দি হওয়ার পর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার ধীরে ধীরে অবনতি হয়েছে। আট মাস আগে যখন তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়, তখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিগত আটমাস ধরে শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতিই হয়েছে। আটমাস আগে তিনি একাই স্নান, খাওয়া, হাঁটতে পারতেন, এমনকি লিখতেও পারতেন। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে, একে একে সব ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে। এখন তিনি ঠিকমতো খেতেও পারেন না। কাউকে চামচ দিয়ে খাইয়ে দিতে হয়।
আদালতের তরফে মুম্বইয়ের জেজে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলে, তা তিনি খারিজ করে দেন। বলেন, “আমি আগেও ওই হাসপাতালে দুইবার ভর্তি হয়েছি, আমি ওখানের ব্যবস্থা জানি। এর থেকে আমি রোগে কষ্ট পেয়ে মরে যাওয়া বেশি পছন্দ করব”। সেই সময় অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এরপর গত সপ্তাহেই তিনি ফের একবার আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। আদালতের রায়ের আগেই থমকে গেল তাঁর বলিয়ান কন্ঠস্বর।
আরও পড়ুন: ঐচ্ছিক পরীক্ষার সুযোগ, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল নিয়ে বড় ঘোষণা ত্রিপুরা বোর্ডের
⇜ TV9 EXCLUSIVE: না পড়লেই নয় ⇝