Plea Against Waqf Bill: ‘ধর্মের বিষয়ে স্পষ্ট হস্তক্ষেপ’, ওয়াকফ বিল পাস হতেই সুপ্রিম কোর্ট কটা মামলা দায়ের হল?
Plea Against Waqf Bill: বিলের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে বেশ কয়েকটি আবেদন দাখিল করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী পিএসের মাধ্যমে দায়ের করা আবেদনে বলা হয়েছে যে, এই সংশোধনীগুলি ওয়াকফদের ধর্মীয় চরিত্রকে বিকৃত করবে।

ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫-এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে নতুন আবেদন দাখিল করল কেরালার সুন্নি মুসলিম পণ্ডিত ও ধর্মগুরুদের ধর্মীয় সংগঠন, ‘সমস্থ কেরালা জামিয়াতুল উলেমা’। আপিলকারীর দাবি এটি একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্মের বিষয়ে নিজস্ব বিষয় পরিচালনার অধিকারে ‘স্পষ্ট হস্তক্ষেপ’।
শনিবারই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫-এ তার সম্মতি দিয়েছেন। সংসদে দীর্ঘ বিতর্কের পরে ভোটাভুটিতে পাস হয় এই বিল।
প্রসঙ্গত, এর আগেও বিলের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে বেশ কয়েকটি আবেদন দাখিল করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী পিএসের মাধ্যমে দায়ের করা আবেদনে বলা হয়েছে যে, এই সংশোধনীগুলি ওয়াকফদের ধর্মীয় চরিত্রকে বিকৃত করবে। ওয়াকফ এবং ওয়াকফ বোর্ডের প্রশাসনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করবে।
আবেদনের বয়ান অনুসারে, “২০২৫ সালের আইনটি একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্মের বিষয়ে নিজস্ব বিষয় পরিচালনার অধিকারের উপর একটি স্পষ্ট হস্তক্ষেপ। যা ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৬-এর অধীনে সুরক্ষিত।”
আবেদনকারীদের দাবি, এই আইন ওয়াকফ সম্পর্কিত রাজ্য সরকার এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে তুলে দেয়। যা ফেডারেল নীতির পরিপন্থী। আবেদনে বলা হয়, “এই বিধানগুলির ক্রমবর্ধমান প্রভাব ওয়াকফদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি কার্যকর হলে মুসলিম সম্প্রদায় ওয়াকফ সম্পত্তির বিশাল অংশ থেকে বঞ্চিত হবে।”
বিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে কংগ্রেস সাংসদ মোহাম্মদ জাভেদ, এআইএমআইএম সভাপতি আসাদুদ্দিন ওয়াইসি এবং এএপি বিধায়ক আমানতুল্লাহ খান সহ বেশ কয়েকজন আবেদন দাখিল করেছেন।
এঁদের পাশাপাশি, একটি এনজিও – অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য প্রোটেকশন অফ সিভিল রাইটস -ও ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫ এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে একটি আবেদন দাখিল করেছে।
মোহাম্মদ জাভেদের আবেদন অনুসারে দাবি, যে বিলটি ওয়াকফ সম্পত্তি এবং তাদের ব্যবস্থাপনার উপর ‘স্বেচ্ছাচারী বিধিনিষেধ’ আরোপ করেছে। যা মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বায়ত্তশাসনের অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করেছে।
আইনজীবি আনাস তানভীরের দায়ের মামলা অনুসারে, “প্রস্তাবিত আইনটি অন্যান্য ধর্মীয় দান পরিচালনায় বিদ্যমান বিধিনিষেধ আরোপের মাধ্যমে” মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে।
প্রসঙ্গত, লোকসভায় এই বিল পাস করানোর সময়, পক্ষে ভোট দেন ২৮৮ জন এবং বিপক্ষে ভোট দেন ২৩২ জন। রাজ্যসভায় বিতর্কের পর ভোটাভুটিতে পক্ষে ভোট দেন ১২৮ জন, বিপক্ষে ভোট দেন ৯৫ জন।
বিহারের কিষাণগঞ্জের সাংসদ এবং জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির সদস্য জাভেদের দাবি, “ধর্মীয় অনুশীলনের সময়কালের উপর ভিত্তি করে ওয়াকফ তৈরির উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।”
অন্য একটি আবেদনে, এ ওয়াইসি জানান, বিলটি ওয়াকফদের কাছ থেকে বিভিন্ন সুরক্ষা কেড়ে নেয়। যা ওয়াকফ এবং হিন্দু, জৈন এবং শিখ ধর্মীয় এবং দাতব্য দানকে উভয়ই দেওয়া হয়। মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ এবং সংবিধানের ১৪ এবং ১৫ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আমানতুল্লাহ খান তার পৃথক আবেদনে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলকে, “অসাংবিধানিক এবং সংবিধানের ১৪, ১৫, ২১, ২৫, ২৬, ২৯, ৩০ এবং ৩০০-ক অনুচ্ছেদের লঙ্ঘনকারী” ঘোষণা করার দাবিও জানিয়েছেন।





