AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jignesh Mevani: ‘দীর্ঘসময় আটক করে রাখতেই মামলা’, মহিলা পুলিশকর্মীকে নিগ্রহ মামলায় জিগনেশকে জামিন দিল আদালত

Assam Police: আদালত উল্লেখ করেছে, ওই মহিলা পুলিশকর্মীর বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হচ্ছে না আদালতের। বরং, অভিযুক্তকে দীর্ঘ সময়ের জন্য আটকে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলেই মনে হয়েছে।

Jignesh Mevani: 'দীর্ঘসময় আটক করে রাখতেই মামলা', মহিলা পুলিশকর্মীকে নিগ্রহ মামলায় জিগনেশকে জামিন দিল আদালত
জিগ্নেশ মেভাণী
| Edited By: | Updated on: Apr 29, 2022 | 11:27 PM
Share

গুয়াহাটি : মহিলা পুলিশকর্মীকে নিগ্রহের মামলায় জামিন পেলেন নির্দল বিধায়ক জিগনেশ মেভানি (Jignesh Mevani)। অসমের এক আদালত শুক্রবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে। আদালত আরও জানিয়েছে, আইন ও আদালতের প্রক্রিয়ার অপব্যবহারও করে ওই মামলাটি মেভানিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য আটকে রাখার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। বিচারক বারপেটা এ চক্রবর্তী গুয়াহাটি হাইকোর্টকে অনুরোধ করেছেন, অসম পুলিশকে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে নিজেকে সংস্কার করার নির্দেশ দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে। বেশ কিছু উদাহরণও তুলে ধরেছেন বিচারক। যেমন আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রত্যেক পুলিশকর্মীদের বডি ক্যামেরা পরার নির্দেশ দেওয়া, কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার সময় গাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো এবং সমস্ত থানায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো।

আদালত হাইকোর্টকে এই অনুরাধ জানানোর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, ওই মহিলা পুলিশকর্মীর বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হচ্ছে না আদালতের। বরং, অভিযুক্তকে দীর্ঘ সময়ের জন্য আটকে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলেই মনে হয়েছে। আদলত জানিয়েছে, “অন্যথায়, আমাদের দেশ একটি পুলিশ রাষ্ট্রে পরিণত হবে, যা সমাজের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।” আদালত আরও পর্যবেক্ষণ করেছে, “রাজ্যে বর্তমানে পুলিশি বাড়াবাড়ি বন্ধ করতে একটি জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করা যেতে পারে।”

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি টুইট করার কারণে অসমের কোকরাঝোড়ের স্থানীয় বিজেপি নেতা জিগনেশ মেভানির বিরুদ্ধে অভিযোগে দায়ের করেন। ওই এফআইআর-এর ভিত্তিতে মেভানিকে ২০ এপ্রিল গুজরাট থেকে অসম পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর এক পুলিশকর্মীকে নিগ্রহের অভিযোগে ফের তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে টুইট সংক্রান্ত মামলায় মেভানিকে জামিন দেওয়ার, সেটি দ্বিতীয়বার গ্রেফতার করা হয়েছিল।

ওই মহিলা পুলিশকর্মী এফআইআর-এ অভিযোগ করেছিলেন, তিনি মেভানিকে গুয়াহাটির এলজিবি বিমানবন্দর থেকে কোকরাঝোড় পর্যন্ত একটি সরকারি গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় মেভানি তার বিরুদ্ধে অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করেছিলেন। অভিযোগ, মেভানি তার দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে তাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন এবং তাকে জোর করে ঠেলে বসিয়ে দেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই জিগনেশ মেভানির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল।

আরও পড়ুন : Adhir Chowdhury: ‘বিজনেস সামিটের নামে বেকারদের প্রতারিত করছেন মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ অধীরের

আরও পড়ুন : Factor 8 vial missing: কলকাতা মেডিকেল থেকে খোয়া গেল দামী ইঞ্জেকশন, তদন্তে বউবাজার থানার পুলিশ