Ayodhya Mosque: তাজমহলের সৌন্দর্যকেও হার মানাবে অযোধ্যার মসজিদ? নির্মাণের দায়িত্বে কে রয়েছেন?
Ayodhya Masjid: রাম মন্দিরের কারুকাজ যেমন নিখুঁত ও চোখধাঁধানো, তেমনই অযোধ্যার মসজিদের সৌন্দর্য শতাব্দী প্রাচীন তাজমহলকেও হার মানাবে বলে দাবি জফর ফারুকির। তিনি জানান, এই মসজিদের ভিতরে নিরামিষ রেস্তোরাঁ ও গ্রন্থাগারও করা হবে। এছাড়া মসজিদের জায়গায় দুটি হাসপাতাল তৈরি করারও প্রস্তাব রয়েছে।
অযোধ্যা: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই রাম মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন নিয়ে এখন জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে অযোধ্যায়। পাশাপাশি অযোধ্যার মসজিদ নির্মাণের তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী বছরই শহরের উপকণ্ঠে, ধান্যিপুরে অযোধ্যা মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যে বিশেষ এক সংস্থাকে মসজিদ নির্মাণের বরাতও দেওয়া হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, অযোধ্যার এই মসজিদ তাজমহলের সৌন্দর্যকেও ম্লান করে দেবে।
অযোধ্যার এই মসজিদের নাম আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল। নাম স্থির হয়েছে, মহম্মদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদ। এবার এই মসজিদ নির্মাণের বরাত কাকে দেওয়া হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনল উত্তর প্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড। জানানো হয়েছে, মুম্বইয়ের এক স্পেশাল টিমকে অযোধ্যার মসজিদ নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধানে থাকছেন হাজি আরাফত শেখ নামে মুম্বইয়ের এক যুবক।
উত্তর প্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের অধ্যক্ষ জফর ফারুকি জানান, আগামী বছরের মে মাসেই মহম্মদ বিন আবদুল্লাহ মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হবে। তার আগে আগামী বছরের গোড়াতেই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হবে। সেই অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের মৌলবী, পীরজাদার সঙ্গে সঙ্গে সাধু-সন্তদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে। মসজিদে চোখ ধাঁধানো নকশা থাকবে। ফলে কাজ সম্পূর্ণ হতে বেশি সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন হাজি শেখ। মসজিদটির নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হতে ৫-৬ বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন জফর ফারুকি।
রাম মন্দিরের কারুকাজ যেমন নিখুঁত ও চোখধাঁধানো, তেমনই অযোধ্যার মসজিদের সৌন্দর্য শতাব্দী প্রাচীন তাজমহলকেও হার মানাবে বলে দাবি জফর ফারুকির। তিনি জানান, এই মসজিদের ভিতরে নিরামিষ রেস্তোরাঁ ও গ্রন্থাগারও করা হবে। এছাড়া মসজিদের জায়গায় দুটি হাসপাতাল তৈরি করারও প্রস্তাব রয়েছে।