Last CCTV Footage of Sidhu Moosewala: ধাওয়া করেছিল দুটি গাড়ি! বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকা সত্ত্বেও কেন নিয়ে যাননি সিধু? উঠছে প্রশ্ন
Last CCTV Footage of Sidhu Moosewala: পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি ওই পঞ্জাবী গায়কের কাছে একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িও ছিল। শনিবার নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হলেও, বুলেটপ্রুফ গাড়িটি তাঁর নিজস্বই ছিল। কিন্তু রবিবার কেন তিনি ওই গাড়ি নিয়ে বের হননি, তা জানা যায়নি।
চণ্ডীগঢ়: আগের দিনই তুলে নেওয়া হয়েছিল পুলিশি নিরাপত্তা, আর ঠিক পরেরদিনই গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হল পঞ্জাবী গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালাকে। রবিবার বিকেলেই পঞ্জাবের মানসা জেলার একটি গ্রামে সিধুর গাড়িকে ঘিরে ফেলে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু দুষ্কৃতী। একের পর এক গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় ওই গায়ককে। ইতিমধ্যেই সিধুকে হত্যার দায়স্বীকার করে নিয়েছে কানাডার গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার। ওই গ্যাংস্টার নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে, পঞ্জাবে তাঁর ঘনিষ্ঠ গুন্ডারাই সিধু মুসেওয়ালাকে গুলি করেছে। এদিকে, পুলিশের হাতেও ইতিমধ্যেই একটি সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, গুলি চালানোর ঠিক আগেই দুটি গাড়ি সিধুর কালো গাড়িটিকে অনুসরণ করছে। মনে করা হচ্ছে, ওই গাড়িতেই আততায়ীরা ছিল।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি ওই পঞ্জাবী গায়কের কাছে একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িও ছিল। শনিবার নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হলেও, বুলেটপ্রুফ গাড়িটি তাঁর নিজস্বই ছিল। কিন্তু রবিবার কেন তিনি ওই গাড়ি নিয়ে বের হননি, তা জানা যায়নি। গতকাল সিধু কালো রঙের এসইউভি গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সিধু মুসেওয়ালার গাড়ি বাঁক নিতেই পিছু পিছু ধাওয়া করে ওই দুটি গাড়ি।
CCTV Footage of assailants that shot dead Sidhu Moosewala #sidhumoosewala pic.twitter.com/LJdgjG9BPU
— Gagandeep Singh (@Gagan4344) May 29, 2022
রবিবার পঞ্জাব পুলিশের প্রধান জানান, বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ সিধু বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, তার এক ঘণ্টা বাদেই আততায়ীরা হামলা করে। কমপক্ষে ৩০টি গুলি চালানো হয়েছিল সিধু মুসেওয়ালার উপরে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে তিনটি অস্ত্র ব্য়বহার করা হয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। এত দিন সিধুর নিরাপত্তার জন্য চারটি কম্যান্ডো থাকলেও, শনিবারই পঞ্জাব সরকারের তরফে দুইজন নিরাপত্তারক্ষীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দুইজন কম্যান্ডো থাকলেও, সিধু নিজেই ওই দুইজনকে সঙ্গে যেতে বারণ করেছিলেন। একইসঙ্গে তিনি বুলেটপ্রুফ গাড়িটিও সঙ্গে নেননি। আততায়ীরা কীভাবে এই তথ্যগুলি জানতে পেরেছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ তদন্তকারী দল দখল করা হয়েছে।