‘মনে করোনাভীতিই নেই’, সংক্রমণ বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র

সাধারণ মানুষের মনে করোনাভীতি না থাকা, সাম্প্রতিক গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন(Panchayat election), নানা সামাজিক অনুষ্ঠান(Social Gathering), স্কুল খুলে যাওয়া ও গণপরিবহনগুলিতে মাত্রাতিরিক্ত ভিড়কেও দায়ী করা হয়েছে করোনা সংক্রমণ(COVID-19) বৃদ্ধির জন্য।

'মনে করোনাভীতিই নেই', সংক্রমণ বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Mar 07, 2021 | 5:02 PM

মুম্বই: মহারাষ্ট্রে ফের উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ, প্রতিদিনই প্রায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাভাইরাস(Coronavirus)-এ। চলতি বছরের দ্বিতীয় মাস থেকেই আচমকা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ খুঁজতে গিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা জানালেন, মানুষের মনে রোগের ভয় কেটে গিয়েছে, সেই কারণেই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে গাফিলতি করা হচ্ছে এবং ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণ। একইসঙ্গে বিয়েবাড়ি, নির্বাচনের কারণেও বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

গতবছর মার্চ মাসে করোনা সংক্রমণে সবথেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছিল মহারাষ্ট্র(Maharashtra)-ই। শীতের শুরুতে সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করা হলেও সেপ্টেম্বর মাস থেকেই কমতে থাকে করোনার সূচক। তবে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই ফের বাড়তে থাকে সংক্রমণ। এরপরই কেন্দ্রের তরফে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে পাঁচ রাজ্যে পাঠানো হয়েছিল প্রতিনিধি দল। মহারাষ্ট্রে যে তিন সদস্যের দলটি গিয়েছিল, সেই দলের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, “করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির সঠিক কারণ জানা না গেলেও করোনাবিধি না মানা, রোগের ভয় না থাকা ও সুপার স্প্রেডার(Super Spreader)-র কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।”

একইসঙ্গে সাম্প্রতিক গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন, নানা সামাজিক অনুষ্ঠান, স্কুল খুলে যাওয়া ও গণপরিবহনগুলিতে মাত্রাতিরিক্ত ভিড়কেও দায়ী করা হয়েছে সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য। আক্রান্তের সংখ্যা যাতে আর না বাড়ে, সেইজন্য কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং, নজরদারি ও পরীক্ষার উপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় দল।

আরও পড়ুন:যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনেই আদালত থেকে পালাল কয়েদি

সরকারি রিপোর্টে বলা হয়েছে, “দয়া করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। কড়া নজরদারি, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং (Contact Tracing) ও পরীক্ষার উপর জোর দিন। হোম কোয়ারান্টিন, প্রতি পাঁচদিন অন্তর হটস্পট এলাকাগুলিতে করোনা পরীক্ষা ও আক্রান্তদের আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।”

সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিকিৎসকদের গাফিলতিও তুলে ধরেছে কেন্দ্রের রিপোর্ট। সরকারি বিশেষজ্ঞ দলের মতে, চিকিৎসক মহলে, বিশেষত বেসরকারি ক্ষেত্রে গাফিলতি দেখা যাচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী করোনা পরীক্ষা না করে সাধারণ ফ্লু বলে উড়িয়ে দেওয়ায় সংক্রমণ আরও বাড়ছে। নাগপুরের কয়েকটি জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে যে চিকিৎসকরা সরাসরি করোনা রোগীদের দেখতে যাচ্ছেন না। সম্পূর্ণ দায়িত্বই জুনিয়র চিকিৎসকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। বিভিন্ন বেসরকারি ক্ষেত্রে চিকিৎসকরাও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।

আরও পড়ুন: ‘কথা না শুনলে সরকারি কর্মীদের বাঁশপেটা করুন’ জনতাকে পরামর্শ কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর