রাতের মধ্যেই আন্দোলনকারীদের সীমান্ত ফাঁকা করার নির্দেশ প্রশাসনের

গাজিপুরে আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিতেই শুরু হল অশান্তি

রাতের মধ্যেই আন্দোলনকারীদের সীমান্ত ফাঁকা করার নির্দেশ প্রশাসনের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 28, 2021 | 11:01 PM

নয়া দিল্লি: উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত থেকে আন্দোলনরত কৃষকদের রাস্তা খালি করার নির্দেশ নিয়ে শুরু হল নয়া চাপান-উতর। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীদের দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত ফাঁকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে গাজিপুর প্রশাসন। যার প্রেক্ষিতে কৃষক নেতা রাকেশ তিকায়েতের হুঁশিয়ারি, ”প্রয়োজনে বুলেট খেতে প্রস্তুত, কিন্তু আন্দোলন প্রত্যাহার করব না।” তিনি যোগ করেন, ”সুপ্রিম কোর্টই বলেছে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোনও বাধা নেই।” এ দিকে আন্দোলনকারীদের হঠাতে প্রশাসন পদক্ষেপ করতেই ফের কৃষক আন্দোলন ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করতে গাজিয়াবাদে ৪ কোম্পানি RAF আগেই রাখা হয়েছিল। ২৮ জানুয়ারি থেকে বাড়িয়ে ৪ ফেব্রুযারি পর্যন্ত তাদের মেয়াদ বাড়াল প্রশাসন।

আরও পড়ুন: লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলনকারীকে শনাক্ত করল দিল্লি পুলিশ, ‘নির্দোষ’ সার্টিফিকেট দিল গ্রামবাসীরা

কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে গত ২৬ নভেম্বর থেকেই গাজিপুর সীমান্ত আটকে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। প্রজাতন্ত্র দিবসে বিক্ষোভকারীদের একাংশের লালকেল্লা অভিযানের পর গাজিপুর সীমান্ত ছেড়ে দেওয়ার জন্য কৃষকদের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, বর্তমানে বিশাল আরপিএফ বাহিনি মোতায়েন করা হয়েছে ওই এলাকায়। জল ও বিদ্যুৎ সরাবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

এদিকে গাজিপুর ছাড়াও উত্তর প্রদেশের কয়েকটি জায়গা থেকে আন্দোলনকারীদের সরে যেতে আবেদন করেছে প্রশাসন। যেমন, বুধবার রাতেই বাঘপত প্রশাসন রাস্তা খালি করার নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, হাইওয়ের কাজ থমকে আছে। তাই আন্দোলনকারীদের ওই জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। তবে জোরপূর্বক ভাবে আন্দোলনকারীদের হঠানো হচ্ছে না বলে দাবি যোগী প্রশাসনের। মথুরা, ফতেহপুরের মতো জায়গাগুলিতে যেমন অবস্থান চলছে তাতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি হরিয়ানা রাজ্যেও আন্দোলনকারীদের জায়গা খালি করে দিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। গত দু মাস ধরে চলা এই আন্দোলনের কারণে স্থানীয়দের অসুবিধা পোয়াতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন:  গ্রামবাসীদেরও সমর্থন হারাল কৃষকরা, আন্দোলনস্থল খালি করার দাবিতে সরব স্থানীয়রা

আন্দোলনকারী কৃষকদের দাবি, গত ২৬ জানুয়ারি লালকেল্লা অভিযান ও হিংসায় তাঁদের কোনও হাত ছিল না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে হিংসার রূপ দিতে ষড়য়ন্ত্র করা হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। ২৬ তারিখের হিংসার ঘটনায় আইনি তদন্তের দাবি করেছেন কৃষক নেতা রাকেশ তিকায়েত। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে পিছু হঠার প্রশ্ন নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। প্রসঙ্গত, লালকেল্লায় ধর্মীয় পতাকা তোলা এবং হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে রাকেশের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।