‘অপরাধমূলক অপচয়’, সেন্ট্রাল ভিস্তা নিয়ে কেন্দ্রের ঔদ্ধত্যকে দূরে সরিয়ে রাখার পরামর্শ রাহুলের
কেন্দ্রের তরফে এই প্রকল্পকে ‘অত্যন্ত প্রয়োজনীয়’ প্রকল্প হিসাবে দেখা হচ্ছে। আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী বাসভবন তৈরির কাজ শেষ করার ডেডলাইন দিয়েছে কেন্দ্র।
নয়া দিল্লি: দেশে করোনা মহামারীতে নিত্যদিন তিন-চার লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, প্রাণ হারাচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ। এই কঠিন পরিস্থিতির মাঝেও কাজ চলছে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের। দিল্লিতে লকডাউন জারি থাকলেো শ্রমিকদের বিশেষ বাসে করে নিয়ে আসা হচ্ছে সংসদ ভবনে। কারণ নির্ধীরিত দিনের মধ্যেই শেষ করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। শুক্রবার কেন্দ্রের এই “বিলাসিতা”কেই আক্রমণ করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন এটি “অপরাধমূলক অপচয়”।
পুরনো সংসদভবনের পাশেই প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হচ্ছে নতুন সংসদ ভবন। বর্তমান সংসদের পাশেই ৬৪,৫০০ বর্গমিটার জুড়ে তৈরি হবে ত্রিভূজাকৃতির নতুন সংসদ ভবন। রাজপথ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন ও ইন্ডিয়া গেট অবধি রাস্তা ও তার আশেপাশের অঞ্চল সংস্কার করতে হবে। যে সংস্থা এই প্রকল্পের কাজ করছেন, তার তরফে জানানো হয়েছে আনুমানিক খরচ ১১ হাজার ৭৯৪ কোটি থেকে বেড়ে তা ১৩ হাজার ৪৫০ কোটিতে পৌঁছেছে।
কেন্দ্রের তরফে এই প্রকল্পকে ‘অত্যন্ত প্রয়োজনীয়’ প্রকল্প হিসাবে দেখা হচ্ছে। আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী বাসভবন তৈরির কাজ শেষ করার ডেডলাইন দিয়েছে কেন্দ্র।
যদিও এই প্রজেক্টের বারংবার বিরোধিতা করেছে বিরোধীরা। এ দিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেন, “সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প হল অপরাধমূলক অপচয়। দয়া করে একটা নতুন বাড়ি বানানোর জন্য নিজেদের অন্ধ ঔদ্ধত্যকে সরিয়ে রেখে সাধারণ মানুষের জীবনের দিকে নজর দিন।”
Central Vista is criminal wastage.
Put people’s lives at the centre- not your blind arrogance to get a new house!
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) May 7, 2021
এর আগেও রাহুল গান্ধী সহ একাধিক বিরোধী নেতারা করোনাকালে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের বিরোধিতা করেছেন ও কাজ স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছেন। সম্প্রতিই রাহুল গান্ধী টুইট করে লিখেছিলেন, “সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প প্রয়োজনীয় নয়, প্রয়োজনীয় হল একটি সঠিক লক্ষ্যযুক্ত কেন্দ্রীয় সরকার।”
সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প ঘিরে বিতর্ক দেশের শীর্ষ আদালত অবধি ফের গড়িয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে প্রথমে এর নির্মাণকাজে বাধা দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হলেও এ বার করোনাকালে এই প্রকল্পের কাজ চালানোর বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুুন: সুপ্রিম কোর্টে মুখচুন কেন্দ্রের, কর্নাটকের অক্সিজেন বন্টন নিয়ে হাইকোর্টের রায়কেই মান্যতা শীর্ষ আদালতের