AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল পর্ব শেষ করার সুপারিশ বিশেষজ্ঞ কমিটির

এখন কোভিশিল্ড নেওয়ার সময় কোনও সম্মতিপত্রে সইয়ের প্রয়োজন হয় না। সেই একইরকম ভাবেই কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রেও সুপারিশ করল বিশেষজ্ঞ কমিটি।

কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল পর্ব শেষ করার সুপারিশ বিশেষজ্ঞ কমিটির
ফাইল চিত্র।
| Updated on: Mar 11, 2021 | 10:09 PM
Share

নয়া দিল্লি: বিতর্কের কোভ্যাক্সিন। অনুমোদন নিয়ে উঠেছিল একের পর এক প্রশ্ন। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল কেন ট্রায়ালের ফল সম্পূর্ণ আসার আগেই ছাড়পত্র দেওয়া হল ভারত বায়োটেকের টিকাকে। সেই অনুমোদনের গেরোয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ মোডে টিকাকরণ হবে কোভ্য়াক্সিনের। সেই মতো কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের টিকাকরণ চলছিল। এ বার কোভ্যাক্সিন থেকে ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ মোড তুলে নেওয়া যেতে পারে জানাল করোনা টিকা বিশেষজ্ঞ দল।

ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মোডে থাকার ফলে অনেকের মনে কোভ্যাক্সিন নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এ বার করোনা বিশেষজ্ঞ দল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার কাছে কোভ্যাক্সিনের ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ মোড সরানোর সুপারিশ করল। এতদিন কোভ্যাক্সিন নেওয়ার সময় সকলকে সম্মতিপত্র সই করতে হত। কিন্তু ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মোড উঠে গেলে আর সম্মতিপত্রে সই করতে হবে না।

এখন কোভিশিল্ড নেওয়ার সময় কোনও সম্মতিপত্রে সইয়ের প্রয়োজন হয় না। সেই একইরকম ভাবেই কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রেও সুপারিশ করল বিশেষজ্ঞ কমিটি। কয়েক দিন আগেই কোভ্য়াক্সিনের ট্রায়াল সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ল্যান্সেটে। যেখানে ল্যান্সেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। ল্যান্সেট সাফ জানিয়েছে, এই করোনা প্রতিষেধকের কোনও গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। মেরিল্যান্ড আপার চেসাপাকে হেলথের সংক্রামক রোগের প্রধান ফাহিম ইউনিস টুইট করে লিখেছেন, “সুখবর, কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালের রেজাল্ট ল্যান্সেট প্রকাশ হয়েছে।”

তবে ল্যান্সেটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এখনই কোভ্য়াক্সিনের কার্যকরিতা সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব নয়। কারণ ফেজ-৩ ট্রায়াল হওয়ার আগে ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা সম্পর্কে কিছু বলা যায় না। এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। দেশে কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডের করোনা টিকাকরণ চলছে। ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে কোভ্যাক্সিন। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকা ভারতে তৈরি করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট।

আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন গুরুতর জখম মমতা, জবাব দিল বিজেপি