Dengue: দিল্লিতে ডেঙ্গির প্রকোপ মারাত্মক, মাঝ-নভেম্বরের আগে কমার লক্ষ্মণ নেই
Mosquito borne disease: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের আগে এই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমবে না।
নয়া দিল্লি: শুধু বাংলাতেই নয়, দেশের একাধিক এলাকায় বেড়েছে ডেঙ্গির প্রকোপ। ডেঙ্গি থাবা বসিয়েছে রাজধানীতেও। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে ২ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন নয় জন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের আগে এই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমবে না।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর শরীরেই ডেঙ্গির সেরোটাইপ ২ ভাইরাস দেখা যাচ্ছে। এই সেরোটাইপ ২ ভাইরাস ডেঙ্গি হেমোব়্যাগিক ফিভার (DHF)হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর এতে রক্তপাত সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ডেঙ্গির এক ধরনের চক্রাকার পর্যায়। প্রত্যেক তিন চার বছর অন্তর ডেঙ্গির প্রকোপ এইভাবে বেড়ে যায়। এদিকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকায় দিল্লির চিকিৎসকদের একাংশ এটিকে মহামারি ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন।
শুধুমাত্র গত সপ্তাহেই দিল্লিতে ১ হাজার ১৭১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২১৭ জন। অক্টোবরের শেষ তারিখ পর্যন্ত রাজধানীতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫৩৭ জন। বিগত তিন বছরের ইতিহাসে ডেঙ্গির এমন প্রকোপ দেখেনি দিল্লি।
এমন অনেক রোগীকে দেখা যাচ্ছে, যাঁরা প্রথমবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানাচ্ছেন। অথচ তাঁদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে আগেও তাঁরা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে পরিস্থিতি এখন আগের থেকে কিছুটা ভাল রাজধানীতে। হাসপাতালে ভরতি হওয়া রোগীদের সংখ্যা ১৫০ থেকে ১২৭-এ নেমে এসেছে। তবে দিল্লিতে যে পরিমাণ ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে একটি বড় অংশ উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আনুমানিক প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ উত্তর প্রদেশ থেকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে দিল্লিতে ভরতি হয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)জানিয়েছে, প্রতি বছর ৪০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। একটি মশাবাহিত রোগ এবং স্ত্রী এডিস ইজিপ্টই ডেঙ্গি ভাইরাস ছড়ায়। মৃত্যুর হার কম হলেও সঠিক চিকিৎসা এবং সময়মতো রোগ নির্ণয়ের অভাবে মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকে সাধারণত। প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণ এবং চিকিত্সা রোগটিকে এর গুরুতর পর্যায়ে অগ্রগতি প্রতিরোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উপসর্গগুলি সম্পর্কে সতর্ক থাকা হল রোগগুলি মোকাবেলা করার প্রাথমিক পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি। উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা পেতে সময়মতো রোগ নির্ণয় করা দরকার। চোখের ব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, বমি, হাড়ের ব্যথা, ফুসকুড়ি, পেশী ব্যথা, অস্বাভাবিক রক্তপাত, জয়েন্টে ব্যথা, ক্লান্তি বা অস্থিরতার মতো লক্ষণগুলি দেখা দিলে সতর্ক হোন।
আরও পড়ুন : Dengue: শিয়রে করোনা কাঁটা, জেলায় দাপট ডেঙ্গুর, বিপদের সিদুঁরে মেঘ দেখছে প্রশাসন