Eid-al-Adha: ঈদে পাকিস্তানকে মিষ্টি খাওয়াল ভারত! ফিরল বন্ধুত্বের চেনা ঐতিহ্য
Eid-al-Adha: রবিবার (১০ জুলাই), ঈদ-আল-আযহা উপলক্ষে, পাকিস্তানি রেঞ্জার্সদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মিষ্টি বিনিময় করল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স গুজরাট ফ্রন্টিয়ার। কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে গত কয়েক বছর এই প্রথা স্থগিত ছিল।
আহমেদাবাদ: রবিবার (১০ জুলাই), ঈদ-আল-আযহা উপলক্ষে, পাকিস্তানি রেঞ্জার্সদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মিষ্টি বিনিময় করল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স গুজরাট ফ্রন্টিয়ার। গুজরাট এবং রাজস্থান বরাবর আন্তর্জাতিক সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় শুভেচ্ছা বিনিময় করে দুই বাহিনী। বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গুজরাটের কচ্ছ, বনাসকাঁথা জেলার পাশাপাশি রাজস্থানের বারমের জেলার মুনাবাও, গাদরা, সোমরার, কেলনোর এবং বর্ণহারে, মিষ্টি বিনিময় করেন বিএসএফ গুজরাটের কর্মকর্তা এবং পাক রেঞ্জাররা।
দীপাবলি, ঈদ, স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস-সহ দুই দেশেই যেসব উৎসব পালিত হয়, সেই সকল উৎসবের দিনেই শুভেচ্ছা ও মিষ্টি বিনিময় করে থাকে দুই দেশের বাহিনী। বিএসএফ-এর মতে, এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করে। দুই দেশের বাহিনীর মধ্যেও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট জসবীর সিং বলেন, ‘ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে, বিএসএফ জয়েন্ট চেক পোস্ট আত্তারি সীমান্তে পাকিস্তান রেঞ্জার্সকে মিষ্টি উপহার দিয়েছে। এটি দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে এই শুভেচ্ছা বিনিময় একটি ঐতিহ্যপূর্ণ বিষয়। ঐতিহ্যের পাশাপাশি এই পদক্ষেপ আমাদের শুভেচ্ছা ও শান্তির সূচক।’
On the occasion of EID UL ZUHA, @BSF_Gujarat exchanged sweets & greetings with Pakistan Rangers on Indo-Pakistan International borders of Kutch & Banaskantha Distt of #Gujarat as well as at ICP Munabao, Gadra, Somrar, Kelnore, Varnahar in Barmer Distt of Rajasthan. pic.twitter.com/cHeFR1Y3pH
— BSF GUJARAT (@BSF_Gujarat) July 10, 2022
জম্মু-কাশ্মীর, পঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাট – চারটি রাজ্য জুড়ে ২,২৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এই সীমান্ত পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব বিএসএফের। সীমান্তের ওই পাড়ে প্রহরা দেয় পাক রেঞ্জাররা। বিভিন্ন উৎসবের দিনে দুই পক্ষের মধ্যে মিষ্টি ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের ঐতিহ্য থাকলেও, গত কয়েক বছরে মাঝে মাঝেই শুভেচ্ছা বিনিময়ের এই ছবি দেখা যায়নি।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০১৯ এবং ২০২০ – এই দুই বছরে মিষ্টি বিনিময় স্থগিত রাখা হয়েছিল। কোভিড মহামারির আগেও ২০১৯ সালে, ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ঈদ উপলক্ষে মিষ্টি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেনি। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর এই বন্ধুত্বপূর্ণ আচারে অংশ নিতে অস্বীকার করেছিল পাকিস্তান। ২০১৮ সালে নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত জুড়ে বারবার পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছিল বলে, ওই বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসে এই ঐতিহ্য এড়িয়ে গিয়েছিল বিএসএফ। একইভাবে, ২০১৬ সালের অক্টোবরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরও, পাকিস্তান রেঞ্জার্সকে মিষ্টি দেয়নি বিএসএফ। তবে, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে মিষ্টি বিনিময় করেছিল বিএসএফ।
রবিবার, ভারত ও পাকিস্তানের সর্বত্র পালিত হচ্ছে ঈদ-উল-আযহা বা বকরি ঈদ। ইসলামি ক্যালেন্ডারের দ্বাদশ মাস ধু আল-হিজ্জার দশম দিনে এই উৎসব পালন করা হয়। এই দিনটি বার্ষিক হজ যাত্রার সমাপ্তি সূচকও বটে। তবে, এই উৎসব হল ‘ত্যাগের উত্সব’। আল্লাহর কাছে ছেলে ইসমাইলকে কুরবানি দিতে চেয়েছিলেন ইব্রাহিম। সেই ঘটনাকে স্মরণ করে প্রতীকী হিসেবে ছাগল, গরু, উট বা অন্য পশুর কুরবানি দেওয়া হয়।