ভারত বনধের ডাক কৃষক সংগঠনের, দোকান বন্ধে নারাজ ব্যবসায়ীরা

৮ ডিসেম্বরের পর ফের আগামিকাল ভারত বনধ(Bharat Bandh)-র ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। আগামিকাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা অবধি দেশজুড়ে এই বনধ পালন করা হবে বলে জানিয়েছে আন্দোলনকারী কৃষকরা (Farmers Protest)।

ভারত বনধের ডাক কৃষক সংগঠনের, দোকান বন্ধে নারাজ ব্যবসায়ীরা
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 25, 2021 | 9:01 PM

নয়া দিল্লি: বিগত চার মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমান্তে কৃষক আন্দোলন চললেও এখনও অবধি কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। তাই ফের একবার ভারত বনধ(Bharat Bandh)-র ডাক দিল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (Samyukta Kisan Morcha)। ২৬ মার্চ গোটা দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠন। আগামিকাল সকাল ছ’টা থেকে সন্ধে ছ’টা অবধি বনধ পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।

গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে দিল্লির তিন সীমান্তে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা। কেন্দ্রের সঙ্গে ইতিমধ্যেই ১১ দফা বৈঠক হলেও তাতে কোনও সমাধান মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে ফের একবার ভারত বনধের ডাক দেওয়া হল। এর আগে গত ৮ ডিসেম্বরও ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলি। তবে গতবারের মতো এবার রাস্তা অবরোধ বা রেল রোকো অভিযান চালানো হবে না বলেই জানিয়েছে কৃষক নেতা রাকেশ তিকাইত। তিনি বলেন, “আগামিকাল কিষাণ সংগঠনগুলি বনধের সমর্থনে সীমান্ত পেরিয়ে দিল্লি প্রবেশ করবে।” কংগ্রেস সাংসদ দ্বিগবিজয় সিংও টুইট করে ভারত বনধের সমর্থন জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: কোয়ারেন্টাইনে কড়াকড়ি, ঘণ্টায় ঘণ্টায় পাঠাতে হবে সেলফি

এদিকে, কৃষকদের এই বনধে ব্যবসায়ীরা সমর্থন জানাবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। এই বিষয়ে দিল্লির ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন চেম্বার অফ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (CTI) সমস্ত ব্যবসায়ীদের মতামত নেয় ও জানায় যে ব্যবসায়ীরা কৃষকদের আন্দোলনে সমর্থন জানালেও তাঁরা দোকান বন্ধ রাখার বিষয়ে সহমত নন। সিটিআই চেয়ারম্যান ব্রিজেশ গোয়েল এবং সুভাষ খানদেওয়াল বলেন, “আমরা ২৬ মার্চ ভারত বন্ধের বিষয়ে দিল্লির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরাই বলেছেন যে তাঁরা কৃষকদের ইস্যুতে সমর্থন জানালেও ১দিনের দোকান বন্ধ রেখে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। করোনার কারণে ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। আরও একদিন দোকান বন্ধ রাখলে আখেরে তাঁদেরই ক্ষতি হবে।”

সিটিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণু ভর্গভ এবং রমেশ আহুজা জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলা এবং তাঁদের সমস্যার সমাধান করা। দীর্ঘদিন ধরে দিল্লির সীমানা বনধ থাকায় যানজটের সমস্যা হচ্ছে। পথ অবরোধের কারণে সোনিপত, কুণ্ডলী, নয়ডা এবং গাজিয়াবাদের বহু ব্যবসায়ী ও কারখানা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়াও দিল্লি সহ সারা দেশে করোনার সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তাতে হোলি, নবরাত্রি সহ নানা অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুনরায় লকডাউনের ভয়ে তাঁরা দোকান বন্ধ রাখার বিরোধিতাই করছেন।

আরও পড়ুন: জঙ্গি হামলায় শহিদ দুই, গুরুতর আহত এ রাজ্যের সিআরপিএফ জওয়ান