Fire at Delhi Hospital: সেমিনার হল থেকেই আগুন পৌঁছে গিয়েছিল এমার্জেন্সি বিভাগে, ফের হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে প্রশ্নের মুখে রোগী সুরক্ষা

Fire at Delhi Hospital: দমকল বিভাগের প্রধান অতুল গর্গ বলেন, "গতকাল রাতে ১২টা ২০ নাগাদ আগুন লাগার খবর আসে। হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে আগুন ধীরে ধীরে এমার্জেন্সি ওয়ার্ডেও ছড়িয়ে পড়ছিল।"

Fire at Delhi Hospital: সেমিনার হল থেকেই আগুন পৌঁছে গিয়েছিল এমার্জেন্সি বিভাগে, ফের হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে প্রশ্নের মুখে রোগী সুরক্ষা
পুড়ে ছাই রোগীদের শয্যা। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 18, 2021 | 1:52 PM

নয়া দিল্লি: ফের রাজধানীতে হাসপাতালে আগুন (Fire)। রবিবার মধ্যরাতে আগুন লাগে দিল্লির লোক নায়ক হাসপাতালে (LNJP Hospital)। তবে রোগীদের ঘরে আগুন পৌঁছনোর আগেই তাদের চিকিৎসক ও দমকলকর্মীরা সুরক্ষিতভাবে সরিয়ে নিয়ে যান। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর না মিললেও বারংবার হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় রোগীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ আগুন লাগার খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনীর ছয়টি ইঞ্জিন। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। হাসপাতালের স্টোর রুম থেকেই এই আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

এলএনজিপি হাসপাতালে যে সেমিনার হল রয়েছে, সেখানেই একটি ছোট জায়গার মধ্যে ব্যাটারি, বিভিন্ন গদি ও অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্র রাখা ছিল। সেখানেই কোনওভাবে আগুন লাগে এবং তা ধীরে ধীরে সেমিনার হলে ছড়িয়ে পড়ে। দমকল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এমার্জেন্সি ওয়ার্ড অবধি আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে দমকল কর্মীরা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতায় সেখানে ভর্তি থাকা অসুস্থ রোগীদের সুরক্ষিতভাবে সরিয়ে নিয়ে যায়।

দিল্লি দমকল বিভাগের প্রধান অতুল গর্গ বলেন, “গতকাল রাতে ১২টা ২০ নাগাদ আগুন লাগার খবর আসে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন ও ৫০ জন দমকলকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছই। হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে আগুন ধীরে ধীরে এমার্জেন্সি ওয়ার্ডেও ছড়িয়ে পড়ছিল। বিভিন্ন চার্জ দেওয়ার যন্ত্রপাতি, ব্যাটারি ও গদির মতো দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।”

আগুন লাগার ঘটনা জানাজানি হতেই রোগীদের হাসপাতালেরই অন্য তলে স্থানান্তরিত করা হয়। এমার্জেন্সি ওয়ার্ড অবধি আগুন পৌঁছে যাওয়ায় বেশ কিছুক্ষণের জন্য ওয়ার্ডটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। আগুন লাগার কারণ এখনও সঠিকভাবে জানা না গেলেও, প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, সেমিনার হলের ইলেকট্রিক মিটারে শর্ট সার্কিট হয় এবং সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতাল বা রোগী পক্ষের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি এখনও অবধি।

দিল্লির দমকল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, কেবল গত বছরই দিল্লিতে হাসপাতালে আগুন লাগার কমপক্ষে ৫০টি ঘটনা ঘটেছে। এইমস, সফদরজংয়ের মতো বড় হাসপাতালগুলিতেও একাধিকবার আগুন লাগার ঘটনা সামনে এসেছে। এত সংখ্যক রোগী যেখানে ভর্তি, যাদের মধ্যে অর্ধেকেরই চলনশক্তি নেই, তাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে অতীতের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, হাসপাতালের ভিতরেই একটি ছোট দমকল বিভাগ খোলা হবে। এরফলে আগুন লাগলে দ্রুত দমকলের ইঞ্জিন ও কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারবে, যার ফলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হবে।