Congress meeting: চাপ বাড়াচ্ছে জি-২৩! সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করলেন গুলাম নবি আজাদ
Congress meeting: গত কয়েকদিনে পরপর দু দফায় বৈঠকে বসেছে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ জি-২৩ নেতারা। এবার গান্ধী পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন সেই নেতারা।
নয়া দিল্লি : কংগ্রেসের জি-২৩ নেতাদের বিক্ষোভ নতুন নয়। আগেই বহুবার দলের ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। আর পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের পর ফের নতুন করে সরব হয়েছেন ওই বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতারা। তাঁদের দাবি, কংগ্রেসে ভাঙন হোক তাঁরা চান না। কিন্তু গান্ধী পরিবারের একাধিপত্য বা একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে তাঁদের আপত্তি রয়েছে। এবার সেই নেতাদের চাপে কিছুটা হলেও নড়েচড়ে বসেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বসেছিলেন জি-২৩ নেতারা। এরপরই শুক্রবারই, জি-২৩-র অন্যতম সদস্য গুলাম নবি আজাদ দেখা করলেন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। শুধু আজাদ নন, একাধিক কংগ্রেস নেতা দেখা করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
যদিও কংগ্রেস হাইকমান্ড বা জি-২৩ কেউ এই বৈঠকের কথা স্বীকার করছেন না, তবে, শেষ পর্যন্ত, দ্বিপাক্ষিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যখন ভূপিন্দর হুদা দেখা করেন। এরপরই সন্ধ্যায় বৈঠক বসে বিক্ষুব্ধ নেতাদের। তাঁদের দাবি, কংগ্রেসকে জানাতে হবে, কোন ব্যক্তি দলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না দল নিচ্ছেন। আর দল নিলে, কোন বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। গান্ধী পরিবারের কাছে সেই বার্তাই পৌঁছে দিতে চায় তারা।
জি-২৩ নেতারা কেউ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কেউ প্রাক্তন মন্ত্রী বা বর্তমান কর্মসমিতির সদস্য। তাঁরা কেন জানবেন না দলের সিদ্ধান্ত? কেনই বা সেই প্রক্রিয়াতে থাকবেন না? এই প্রশ্নই তুলেছেন ওই নেতারা। জি-২৩ নেতারা চান, সোনিয়া সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। তাহলে তাঁরাও সোনিয়ার পাশে থাকবেন। তবে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট বদলের দাবি করবেন না যেহেতু সাংগঠনিক নির্বাচন এই বছর শেষেই।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদের বাড়িতে বৈঠকে বসেন বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ নেতা। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিবল সহ বেশ কয়েকজন। আলোচনায় নেতাদের দাবি, সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে কংগ্রেস হাইকমান্ডকে। জি-২৩ সদস্য শঙ্কর সিং বাঘেলাও ছিলেন সেই বৈঠকে। তিনি সাংগঠনিক পরিবর্তনের কথা বলে সরব হন। রাহুল গান্ধীর ওপর কোনও ভরসা নেই বলেও উল্লেখ করেছেন ওই নেতারা।
আরও পড়ুন : Arunachal Assembly: ‘বিধানসভা পবিত্র স্থান’, পিরিয়ডের মতো ‘নোংরা’ বিষয় নিয়ে আলোচনায় নারাজ বিধায়করা!