Jharkhand Politics : বিধায়ক পদ খারিজ হেমন্ত সোরেনের? খামবন্দি রিপোর্ট ঘিরে বাড়ছে জল্পনা

Jharkhand Politics : নির্বাচন কমিশনের তরফে হেমন্ত সোরেনকে পাঠানো রিপোর্ট ঘিরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। বিজেপির দাবি, বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানানো হয়েছে ওই খামবন্দি রিপোর্টে। যদিও এখনও সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসেনি।

Jharkhand Politics : বিধায়ক পদ খারিজ হেমন্ত সোরেনের? খামবন্দি রিপোর্ট ঘিরে বাড়ছে জল্পনা
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2022 | 3:44 PM

রাঁচি : ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ হচ্ছে? পড়শি রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে এখন এই লাখ টাকার প্রশ্ন নিয়ে জোর গুঞ্জন। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে নিজের নামে খনি ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে হেমন্তকে নোটিসও জারি করা হয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে। এবার জোর গুঞ্জন উঠেছে যে হেমন্তের বিধায়ক পদ খারিজ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। তবে এবার এই গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন হেমন্ত। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন, নির্বাচন কমিশনের থেকে তিনি এই সংক্রান্ত কোনও বার্তা পাননি। যদিও বিজেপি দাবি করেছে যে নির্বাচন কমিশন হেমন্তের বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করতে চলেছে। বিজেপির তরফে ইতিমধ্যে আগাম নির্বাচনের দাবি করা হয়েছে।

এদিকে হেমন্তকে নিয়ে নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট এখনও জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। এই নিয়ে হেমন্ত সোরেন বলেছেন, ‘আমার তো মনে হচ্ছে যে বিজেপি নেতা, বিজেপি সাংসদ এবং তাদের কাঠপুতুল সাংবাদিকরাই এই রিপোর্টের খসড়া তৈরি করেছে। নয়ত এই খামবন্দি রিপোর্টের বিষয়ে তাঁরা এত কিছু জেনে গেলেন কী করে।’ এর আগে বিজেপি সংবিধানের ১৯২ ধারার অধীনে হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তুলেছিল। এবার সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন নোটিস জারি করে হেমন্তের থেকে জবাব চেয়ে পাঠায়। সেই জবাব পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন একটি খামবন্দি রিপোর্ট রাজ্যপালকে পাঠিয়েছে। রাজ্যপাল সেই সুপারিশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে বাধ্য। এই আবহে হেমন্তের ভবিষ্যৎ নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে বিজেপি অভিযোগ করেছিল যে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের খনি মন্ত্রী থাকাকালীন হেমন্ত সোরেন নিজের নামে খনির ইজারা দিয়েছিলেন। যা স্পষ্টতই ক্ষমতার অপব্যবহার। এই আবহে বিজেপি হেমন্তের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তুলেছিল। এই আবহে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, ‘হেমন্ত সোরেনের উচিত আগাম নির্বাচন ঘোষণা করা। এই বিধানসভা ভেঙে দেওয়া উচিত।’ এদিকে কংগ্রেসের বক্তব্য, ঝাড়খণ্ডে সরকার ভাঙার কোনও প্রশ্ন নেই। কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা আলগমির আলম বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি জানিয়েছেন যে সিল করা রিপোর্টের বিষয়ে তাঁকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। এই বিষয়ে রাজ্যপালকেই সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া উচিত। আমরা রণকৌশল নিয়ে চিন্তা করছি।’ কংগ্রেসের তরফে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা চাই যে হেমন্ত সোরেনই মুখ্যমন্ত্রী থাকুক। আমাদের কাছে সংখ্যা রয়েছে।’