MP High-count: ‘একমাসের জন্য জেল থেকে ওকে ছাড়ুন আমি মা হব’, বিচারপতিকে বললেন বন্দির বউ

MP High Court: সন্তানের জন্ম দেওয়াটা তাঁর মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে বলে দাবি করে এই আবেদন করেছেন ওই মহিলা। এই আবেদনে বিচারপতিরা অবাক হলেও, তা খারিজ করে দেয়নি মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। বরং, ওই মহিলা আদৌ সন্তানধারণের অবস্থায় আছেন, নাকি সময় পেরিয়ে গিয়েছে - তা জানতে তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

MP High-count: 'একমাসের জন্য জেল থেকে ওকে ছাড়ুন আমি মা হব', বিচারপতিকে বললেন বন্দির বউ
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2023 | 3:41 PM

ভোপাল: হতবাক হাইকোর্টের বিচারপতি। অদ্ভুত আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ মহিলা। জেল-বন্দি স্বামীকে এক মাসের জন্য মুক্তি দিতে হবে। কারণ তিনি সন্তান চান। সন্তানের জন্ম দেওয়াটা তাঁর মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে বলে দাবি করে এই আবেদন করেছেন ওই মহিলা। এই আবেদনে বিচারপতিরা অবাক হলেও, তা খারিজ করে দেয়নি মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। বরং, ওই মহিলা আদৌ সন্তানধারণের অবস্থায় আছেন, নাকি সময় পেরিয়ে গিয়েছে – তা জানতে তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২২ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তার আগে আদালতে পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে হবে ডাক্তারদের।

সূত্রের খবর, বর্তমানে ইন্দোর সেন্ট্রাল জেলে সাজা ভোগ করছেন মহিলার স্বামী। শুনানির সময়, মহিলার আইনজীবী রাজস্থান হাইকোর্টের এক রয়ের উল্লেখ করে দাবি করেন, সন্তান ধারণের অধিকার মহিলাদের মৌলিক অধিকার। বন্দীদের বৈবাহিক অধিকার সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ও উল্লেখ করেন তিনি। এই দুই মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে, তাঁকেও তাঁর স্বামীর সঙ্গে সন্তানের জন্ম দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে বলে দাবি করেন মহিলা। সঙ্গে একটি হলফনামা পেশ করে, তিনি দাবি করেছেন, তিনি গর্ভধারণ করতে সক্ষম। তবে, সরকারি আইনজীবীর পাল্টা দাবি, আবেদনকারী মহিলার সন্তান ধারণের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম উপায়ে তিনি সন্তান ধারণ করতে পারে না।

দুই পক্ষের যুক্তি শুনে মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি জানান, এই মালার ক্ষেত্রে সবার আগে জানা প্রয়োজন, আবেদনকারী সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম কিনা। এর জন্য, তিনি জব্বলপুর মেডিক্যাল কলেজের ডিনকে এক পাঁচ সদস্যের চিকিৎসক দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই চিকিৎসক দলই তদন্ত করে জানাবে মহিলা আদৌ সন্তান ধারণ করতে পারবেন কিনা। তারপরই মহিলার আবেদন বিবেচনা করবে আদালত।

এই ধরণের আবেদন এর আগেও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে করা হয়েছে। বন্দিরা যাতে তাঁদের বংশ বৃদ্ধির জন্য তাঁদের জীবন সঙ্গীদের সঙ্গে কিছুটা সময় একা কাটাতে পারেন, তার জন্য পঞ্জাবের এক সংশোধনাগারে একটি আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আগে এক গণধর্ষণকারীকে ১৫ দিনের জন্য তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে থাকার অনুমতি দিয়েছিল রাজস্থান হাইকোর্ট। রাজস্থানেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকেও একই কারণে প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিল আদালত। রাজস্থান হাইকোর্ট বলেছে, আবেদনকারী মহিলা নির্দোষ। আদালত তাকে শাস্তি দেয়নি। এই অবস্থায় তাঁকে মাতৃত্বের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়।