Maharashtra Cabinet Expansion: দীর্ঘ টালবাহানার পর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে সম্মতি, কে কোন মন্ত্রক পাচ্ছেন?

Maharashtra Cabinet Expansion: গত সপ্তাহের শেষেই মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস দিল্লিতে গিয়েছিলেন নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে। দেবেন্দ্র ফড়ণবীস নিজেই জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন বারামতীতে বিজেপির কার্যকলাপ ও তার ফলাফলের উপরে নজর রাখতে।

Maharashtra Cabinet Expansion: দীর্ঘ টালবাহানার পর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে সম্মতি, কে কোন মন্ত্রক পাচ্ছেন?
মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও উপমুখ্য়মন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 08, 2022 | 11:30 AM

মুম্বই: দীর্ঘ জল্পনার অবসান। অবশেষে মন্ত্রিসভা বাড়াতে চলেছে একনাথ শিন্ডে-বিজেপি জোটের মহারাষ্ট্র সরকার। জুন মাসের শেষেই মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী শপথ নিলেও, বাকি কোনও নতুন মন্ত্রীই নিয়োগ করা হয়নি মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভায়। নিয়োগে এই দেরী নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি উদ্ধব ঠাকরের শিবিরও। সূত্রের খবর, অবশেষে মন্ত্রিসভা বাড়াতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। জানা গিয়েছে, এই সপ্তাহেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব পেতে পারেন উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস।

বিগত দুই মাস ধরে চর্চায় মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক ডামাডোল। সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে উদ্ধব ঠাকরে ইস্তফা দেওয়ার পরের দিনই,গত ৩০ জুন নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন শিবসেনারই বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ পান বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। এরপর এক মাস কেটে গেলেও মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ যোগ করা হয়নি। শিবসেনার উপরে কার অধিকার থাকবে, তা নিয়ে আইনি লড়াইয়ের মাঝেই কেন নতুন মন্ত্রীদের নিয়োগ করা হচ্ছে না, তা নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়।

সম্প্রতিই উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বলেছিলেন, “কল্পনা করার আগেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হয়ে যাবে।” এ দিন সেই জল্পনাতেই শিলমোহর দিয়ে জানানো হয়, চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হবে। সূত্রের খবর, দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরমধ্য়ে দেবেন্দ্র ফড়ণবীস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ পেতে পারেন। বাকি কারা কে কোন পদ পাবেন, তা এখনও জানা যায়নি।

গত সপ্তাহের শেষেই মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস দিল্লিতে গিয়েছিলেন নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে। দেবেন্দ্র ফড়ণবীস নিজেই জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন বারামতীতে বিজেপির কার্যকলাপ ও তার ফলাফলের উপরে নজর রাখতে। উল্লেখ্য, পশ্চিম মহারাষ্ট্রের এই বারামতী শরদ পওয়ারের ঘাঁটি হিসাবেই পরিচিত। শরদ পওয়ারের কন্য়া সুপ্রিয়া সুলে বারামতীর সাংসদ।

দেবেন্দ্র ফড়ণবীসও জানান, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই বিজেপি মহারাষ্ট্রে নিজেদের জায়গা পাকা করতে চাইছে। মূলত ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্র, যেখানে বিরোধী দলগুলিই ক্রমাগত জয়ী হয়ে এসেছে, সেই আসনগুলিই এবার দখল করতে চাইছে। এই কেন্দ্রগুলিতে যে সমস্ত শিবসেনা নেতারা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল, তারা বর্তমানে একনাথ শিন্ডের শিবিরেই নাম লিখিয়েছে। এবার যেহেতু শিবসেনার একনাথ শিন্ডে শিবির বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লোকসভা নির্বাচনে লড়বে, তাই বিজেপি এই আসনগুলিতে বিশেষ জোর দেবে।