Maharashtra Rains: গাড়ি-সহ ভেসে গেলেন ৬ জন, ৮৯-এ মৃত্যু মিছিল! বৃষ্টি-বন্যায় বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্র

Maharashtra Rains: বৃষ্টি-বন্যায় মহারাষ্ট্রে মৃতের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়ালো ৮৯-এ। নাগপুরে গাড়ি-সহ ভেসে গেলেন ৬ জন। অন্যদিকে পালঘরে ধসের নিচে চাপা পড়ল গোটা একটি পরিবার। তবে আগামী ৪-৫ দিনেও আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

Maharashtra Rains: গাড়ি-সহ ভেসে গেলেন ৬ জন, ৮৯-এ মৃত্যু মিছিল! বৃষ্টি-বন্যায় বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্র
বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2022 | 6:33 PM

মুম্বই: প্রবল বর্ষণ ও বন্যায় বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্র। এরই মধ্যে নাগপুর জেলার প্রবল বর্ষণে অন্তত ছয়জন ভেসে গিয়েছেন বল খবর এসেছে। সাওনের এলাকার নন্দা গোমুখ গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীজের দাবি, প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্যে মঙ্গলবার একটি গাড়ি, ফুলে ফেপে ওঠা সাওনার নদীর উপর একটি ডুবে যাওয়া কালভার্ট পাড় করতে গিয়েছিল। জলের তোড়ে গাড়িশুদ্ধ একই পরিবারের ছয়জন ভেসে যান। তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। অন্য তিনজন এখনও নিখোঁজ। সরকারী প্রতিবেদন অনুসারে, রাজ্যে বৃষ্টি ও বন্যায় গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে, গত কয়েকদিনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে ৮৯-এ।

অন্যদিকে, ভারী বর্ষণের পরে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার ভাসাই শহরে বড় মাপের ধস নেমেছে। ধসের জেরে বুধবার এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং তাঁর পরিবারের আরও দুই সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এখনও নিখোঁজ। তাঁদের অনুসন্ধান চলছে। ধ্বংসস্তূপে আরও লোক আটকে পড়েছেন কি না তাও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে, জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

ভয়ঙ্কর অবস্থা নাসিক জেলারও। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার, সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত গতল ২৪ ঘন্টায় নাসিকে ৯৭.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া বিভাদের এক কর্তা জানিয়েছেন, আহমেদনগর এবং নাসিকের প্রতিবেশী জেলাগুলিতে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের জয়কোয়াড়ি বাঁধে জল বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। গোদাবরী নদীর উপর অবস্থিত এই বাঁধে জলের সঞ্চয় মঙ্গলবার সকালে ছিল ১৭,১৫০ কিউসেক। কিন্তু বাঁধের উপরিভাগের এলাকাগুলিতে প্রবল বৃষ্টির কারণে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জলের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪,৭৫৭ কিউসেকে।

ইতিমধ্যে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে রাজ্যে বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। জেলা আধিকারিকদের তিনি জরুরি পরিষেবা বিভাগের কর্মীদের সতর্ক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে সময়মতো সহায়তা পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করা যায়, তার জন্য আমি জেলা আধিকারিকদের জরুরী পরিষেবাগুলিকে সতর্ক রাখার নির্দেশ দিয়েছি।’

তবে, আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে আবহাওয়া পরিস্থিতি ভাল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এদিও, ভারতের আবহাওয়া বিভাগ রায়গড়, পালঘর, নাসিক, পুনে, সাতারা এবং কোলাপুর-সহ মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে। পাশাপাশি, মুম্বই, থানে, গড়চিরোলি, চন্দ্রপুর, রত্নাগিরি, সিন্ধুদুর্গ এবং নন্দুরবারের জন্য রয়েছে কমলা সতর্কতা। আরও চার থেকে পাঁচ দিন মধ্যে মহারাষ্ট্রের এই দুর্ভোগ চলতে পারে।

তবে, শুধু মহারাষ্ট্র নয়, অতি বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা গোটা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের বেশ কয়েকটি রাজ্যের। অতি বৃষ্টিতে গুজরাট রাজ্যের নভসারি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। রাজকোট জেলার নিয়ারি বাঁধ উপচে গিয়েছে। পূর্বের রাজ্য ওড়িশা-ঝাড়খণ্ডেরও বেহাল অবস্থা। ধানবাদের একটি আন্ডারপাস নির্মাণস্থলে ধস নেমে মৃত্যু হয়েছে চারজনের।

এদিন আবার ধস নেমেছে উত্তরাখণ্ডে। চামোলি জেলার বিভিন্ন স্থানে ধসের কারণে বন্ধ করে দিতে হয়েছে বদ্রীনাথ হাইওয়ে। হিমাচলের মানালিতে আবার এদিন আচমকা হড়কা বান দেখা গিয়েছে। একইভাবে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় বিপর্যস্ত দক্ষিণী রাজ্য তেলঙ্গনাও। বন্যায় আদিলাবাদ, নির্মল, কোমরম ভীম আসিফবাদ, মানচেরিয়াল এবং জাগতিয়াল জেলার বহু গ্রামের সঙ্গে সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। প্লাবিত এই জেলাগুলির কয়েকটি শহরের কিছু অংশও।