Boat Sank: মালাপ্পুরম ট্রাজিডি: হাউসবোটের মালিক গ্রেফতার, বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

এদিন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাউসবোট দুর্ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত করা হবে জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

Boat Sank: মালাপ্পুরম ট্রাজিডি: হাউসবোটের মালিক গ্রেফতার, বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
কেরলে হাউসবোট দুর্ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 08, 2023 | 9:00 PM

মালাপ্পুরম: কেরলে (Kerala) হাউসবোট (Houseboat) দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই হাউসবোটের মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবারই তাঁকে কোঝিকোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপাতত তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, এই হাউসবোট ডুবির ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত (Judicial Probe) করা হবে বলে জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী (Kerala CM) পিনারাই বিজয়ন। নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি ( Pinarayi Vijayan)।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত হাউসবোটের মালিকের নাম নাজার। দুর্ঘটনার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। অবশেষে এদিন কোঝিকোড়ের কালিকট সৈকত এলাকা থেকে নাজারকে আটক করা হয় এবং মালাপ্পুরমে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। দুর্ঘটনার সময় হাউসবোটের ভিতর যে অনুষ্ঠান চলছিল, সেটির কোনও লাইসেন্স ছিল না বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। এব্যাপারে নাজারের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এছাড়া হাউসবোট দুর্ঘটনায় নিয়ম লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। আপাতত নাজারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে মালাপ্পুরম জেলা পুলিশ।

অন্যদিকে, এদিন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাউসবোট দুর্ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত করা হবে জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। পাশাপাশি রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তরফেও এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মালাপ্পুরম জেলা কালেক্টর এবং আালাপ্পুঝার মুখ্য বন্দর পর্যবেক্ষককে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের বিচারবিভাগীয় সদস্য কে. বৈজু নাথ।

উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ মালাপ্পুরম জেলার তানুর এলাকায় থুভালথিরাম সৈকতের মোহনার কাছে ডুবে যায় যাত্রীবোঝাই একটি হাউসবোট। ওই সময়ে হাউসবোটটিতে কমপক্ষে ৪০ জন যাত্রী ছিল বলে প্রথমে জানা গিয়েছিল। পরে পুলিশি তদন্তে জানা যায়, ৪০ জন হাউসবোটের টিকিট কিনলেও অনেকে টিকিট ছাড়া বোটে উঠেছিলেন। সেই কারণেই ডবল ডেকার হাউসবোটটি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে এবং ডুবে যায়। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৭ শিশুও রয়েছে।