False Case: নাবালিকার বাচ্চার বাবা নন! ডিএনএ পরীক্ষায় পকসো মামলা থেকে মুক্ত যুবক

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

May 13, 2022 | 4:35 PM

False Case: নাবালিকার সঙ্গে সম্পর্কের কথা শুরু থেকে অস্বীকার করেছিলেন যুবক। তাঁর দাবি ছিল, নাবালিকার সন্তানের বাবা নন তিনি। এর পরই ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন জানান।

False Case: নাবালিকার বাচ্চার বাবা নন! ডিএনএ পরীক্ষায় পকসো মামলা থেকে মুক্ত যুবক
প্রতীকী ছবি

Follow Us

মুম্বই: অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ এসেছিলেন এক যুবকের বিরুদ্ধে। তার পর পকসো আইনে মামলাও হয়েছিল। অভিযোগ দায়ের হওয়ার প্রায় পাঁচ বছর পর সামনে এল ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে জানা গেল, অভিযোগ আনা কিশোরীর সন্তানের বায়োলজিক্যাল বাবা নন অভিযুক্ত যুবক। সেই সত্য সামনে আসার পর পকসো আদালত নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ থেকে মুক্তি দিল অভিযুক্ত যুবককে।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। নাবালিকা কিশোরীর মা দেখেন তাঁর মেয়ের পেটের আকার বাড়ছে। মেয়ে অন্তঃসন্ত্বা হয়ে পড়েছে সন্দেহ হওয়ায় পরীক্ষা করানো। সেই পরীক্ষা নিশ্চিত করে, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে ওই কিশোরী। প্রাথমিকভাবে তার বাচ্চার বাবার পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেছিল নাবালিকা। পরে সে অভিযুক্ত য়ুবকের নাম জানায়। বাবা-মাকে নাবালিকা জানায়, ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর তিন বছরের বেশি সময় ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

এর পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নাবালিকাকে। অন্তঃসত্ত্বার ৭ মাসেরও বেশি হওয়ায় গর্ভপাত করানো সম্ভব হয়নি। পরে নাবালিকা একটি কন্য়া সন্তানের জন্ম দেয়। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

মামলা দায়েরের সময় অভিযুক্ত দুবাইয়ে ছিল। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে দেশে ফিরলে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইতিমধ্যে মেয়েটির পরিবারকে হলফনামা দেয়। সেই হলফনামায় ওই যুবক জানান, তিনি নাবালিকাকে বিয়ে করবেন। এই হলফনামা দেওয়ার পর জামিন পান ওই যুবক।

কিন্তু নাবালিকার সঙ্গে সম্পর্কের কথা শুরু থেকে অস্বীকার করেছিলেন যুবক। তাঁর দাবি ছিল, নাবালিকার সন্তানের বাবা নন তিনি। এর পরই ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন জানান। সেই পরীক্ষা করতেই গোটা ঘটনা সামনে। আসে। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষা করতে কেন এত দেরি এল সে ব্য়াপারে বিস্তারিত তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।

ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর পকসো আদালত বলেছে, “পুলিশকে জানাতে দেরি করা এবং ডিএনএ রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়ায় অভিযুক্তকে মিথ্যা আরোপের বোঝা বইতে হল। ডিএনএ রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হল।” আদালত আরও জানিয়েছে, ডিএনএ রিপোর্ট জানাচ্ছে, নাবালিকার সঙ্গে কোনও রকম শারীরিক সম্পর্ক ছিল না যুবকের। এবং তার উপর মিথ্যা দোষারোপ করা হয়েছে।

Next Article