Muslim leaders praise Amit Shah: ‘অন্য অমিত শাহ’, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশংসায় মুসলিম নেতারা
Muslim leaders praise Amit Shah: মঙ্গলবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুসলিম নেতাদের এক প্রতিনিধি দল। তারপর তাঁদের মুখে শোনা গেল অমিত শাহের প্রশংসা।
নয়া দিল্লি: ‘ইনি এক অন্য অমিত শাহ।’ মঙ্গলবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুসলিম নেতাদের এক প্রতিনিধি দল। তারপর অমিত শাহ সম্পর্কে এমন মন্তব্যই করলেন তাঁরা। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন জমিয়ত উলেমায়ে হিন্দের সভাপতি মৌলানা মাহমুদ মাদানি। এছাড়া ছিলেন সংগঠনের সম্পাদক নিয়াজ ফারুকী এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য কামাল ফারুকী এবং অধ্যাপক আখতারুল ওয়াসি। অমিত শাহ-র সামনে তাঁরা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে চলা উত্তেজনা, হেট স্পিচ-সহ ১৪টি সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তাঁদের সব বক্তব্য ধৈর্য ধরে শুনেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। মুসলিম নেতারা জানিয়েছেন, এই বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে ‘বরফ গলেছে’।
অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাতের পর নিয়াজ ফারুকি বলেছেন, “আমরা যাকে রাজনৈতিক বক্তৃতা দিতে দেখি, এই অমিত শাহ ছিলেন অন্য মানুষ। তিনি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি আমাদের কথা বিস্তারিতভাবে শুনেছেন। কোনও অভিযোগই তিনি অস্বীকার করেননি।” তিনি আরও জানিয়েছেন, বৈঠকে আলোচিত মূল বিষয়গুলির মধ্যে অন্যতম ছিল বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, গুজরাটের সাম্প্রতিক উত্তেজনার ঘটনা। বিহারের নালন্দার এক মাদ্রাসায় আগুন দেওয়ার ঘটনার কথাও তুলে ধরেন তাঁরা। আলোচনায় উঠে এসেছে রাজস্থানের ভরতপুরের বাসিন্দা জুনায়েদ ও নাসির নামে দুই যুবকের হত্যাকাণ্ডও। এমনকি বিজেপি নেতাদের হেট স্পিচ বা ঘৃণামূলক বক্তব্য দিচ্ছেন বলেও অমিত শাহর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন মুসলিম প্রতিনিধি দলটি।
বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে হেট স্পিচের অভিযোগ অমিত শাহ মেনে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন নিয়াজ ফারুকি। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, সব জায়গায় সব ধরনের মানুষ আছে। সবাইকে একই চোখে দেখা ঠিক নয়। তিনি বলেছেন, কোনও ক্ষেত্রেই সরকার জড়িত নয়। আমরা তাঁকে বলেছি, এই বিষয়ে আপনার নীরবতায় মুসলমানরা হতাশ। তিনি বলেছেন বিষয়টি দেখবেন। আমরা কোনও নির্দিষ্ট নেতাকে নিশানা করিনি। তা আমাদের লক্ষ্যও নয়। আমাদের লক্ষ্য সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি করা, দেশের পরিবেশে বদল ঘটানো।” সমকামী বিবাহ এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়েও মুসলিম নেতারা তাঁদের অবস্থান প্রকাশ করেছেন। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।