Indian Navy: ৩ মাসে ২ মিসাইল লঞ্চ করেই নৌসেনা প্রধান বললেন ‘পাকিস্তান-চিন কী করছে সব জানি’! হঠাৎ কী হল?
Indian Navy: K-4 ক্ষেপণাস্ত্রটি আইএনএস আরিঘাট ডুবোজাহাজ থেকেই পরীক্ষা করা হয়েছিল বলে খবর। জানা গিয়েছে এই পরীক্ষার তত্ত্বাবধানে বিশাখাপত্তনাম উপকূলে পরীক্ষা করা হয়।
ভারতীয় অস্ত্রভাণ্ডারে আর এক নতুন পালক। সম্প্রতি দূরপাল্লার পারমাণবিক শক্তিধর ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণের সফল পরীক্ষা করল ভারতীয় নৌসেনা। নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠি সেই কথা নিশ্চিত করেছেন। নতুন এই অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ৩,৫০০ কিলোমিটার দূর থেকে হামলা করতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন নৌসেনার প্রধান। আইএনএস্ম আরিঘাট থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
K-4 ক্ষেপণাস্ত্রটি আইএনএস আরিঘাট ডুবোজাহাজ থেকেই পরীক্ষা করা হয়েছিল বলে খবর। জানা গিয়েছে এই পরীক্ষার তত্ত্বাবধানে বিশাখাপত্তনাম উপকূলে পরীক্ষা করা হয়। একটি ২৯ অগস্ট এবং দ্বিতীয়টি ২৯ নভেম্বর।
সাবমেরিন-লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইল হিসাবে এটিই ছিল প্রথম পরীক্ষা। K-4 ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার মাধ্যমে, ভারত এখন স্থল, জল, আকাশ যে কোনও জায়গা থেকেই পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশে পরিণত হলেন।
ফাস্ট অ্যাটাক সাবমেরিনগুলি শত্রুর জাহাজ এবং সাবমেরিনকে টার্গেট করতে ব্যবহার করা হয়। স্থলদেশ ও সমুদ্রেও ক্ষেপণাস্ত্র চালাতে পারে এই সাবমেরিন। অন্যদিকে, আইএনএস আরিঘাটের মতো এসএসবিএমগুলির প্রাথমিক কাজ হল পারমাণবিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা।
অ্যাডমিরাল ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, দেশের নৌশক্তি বাড়ানোর অংশ হিসেবে বর্তমানে ৬২টি জাহাজ এবং একটি সাবমেরিন তৈরি করা হচ্ছে। আগামী এক বছরে আরও অনেক কিছুই নতুন ঘটতে চলেছে। এমনকি একটি নতুন জাহাজ নৌবাহিনীতে আসতে চলেছে।
অ্যাডমিরাল ত্রিপাঠী বলেন, “আমরা নৌবাহিনীতে বিশেষ প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টাকেও দ্বিগুণ করেছি।”
রাফালে-এম এবং স্করপেন সাবমেরিনের কেনার বিষয়টিও আগামী মাসে চূড়ান্ত হতে পারে। গত বছর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ফ্রান্সের কাছ থেকে রাফালে-এম জেট কেনার অনুমোদন দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই বিমান আইএনএস বিক্রান্তে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্হিদেশের শক্তিগুলির ক্রিয়াকলাপের উপরেই নজর রাখছে ভারত বলে সাবধান বাণী দিয়েছেন নৌসেনা প্রধান। অ্যাডমিরাল ত্রিপাঠি জানিয়েছেন চিনা নৌবাহিনী সহ ভারত মহাসাগরে অনান্য আঞ্চলিক বাহিনীর কার্যকলাপের উপর ‘নজর’ রেখেছে ভারত।
তাঁর কথায়, “যুদ্ধজাহাজ হোক বা গবেষণা জাহাজ, আমরা জানি কে কি করছে। কোথায় এবং কিভাবে করছে।” পাকিস্তান নৌবাহিনীর হঠাৎ বৃদ্ধি সম্পর্কও ভারত সচেতন বলে জানিয়েছেন তিনি।