PM Modi: মার্কিন সংসদে আমন্ত্রিত মোদী, ‘গর্বিত’ কংগ্রেস

PM Modi to address joint meeting of US Congress: আগামী ২২ জুন আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সেনেটের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানাল মার্কিন কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীকে এই আমন্ত্রণ জানানোকে স্বাগত জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন নেতা স্যাম পিত্রোদা।

PM Modi: মার্কিন সংসদে আমন্ত্রিত মোদী, 'গর্বিত' কংগ্রেস
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন ২০২২-এ প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 03, 2023 | 3:10 PM

ওয়াশিংটন: আগামী ২২ জুন আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সেনেটের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানাল মার্কিন কংগ্রেস। হাতে গোনা বিদেশী রাষ্ট্রনেতাদের এই সম্মান জানিয়ে থাকে আমেরিকা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই সম্মান পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মার্কিন কংগ্রেসের পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে বলা হয়েছে, “আপনি ভারতের ভবিষ্যত নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন এবং আমাদের দুই দেশ যে আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হচ্ছে সেই বিষয়ে ভাষণ দেবেন বলে আশা করছি।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মার্কিন কংগ্রেসের এই আমন্ত্রণ জানানোকে স্বাগত জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন নেতা স্যাম পিত্রোদা। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বের সবথেকে জনবহুল দেশের প্রধানমন্ত্রী সর্বত্র সম্মানের দাবিদার। প্রধানমন্ত্রী এই সম্মান পাওয়ায় তিনি ‘গর্বিত’।

বর্তমানে তিন মার্কিন শহরে সফর করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মার্কিন মুলুকে তাঁর সফর সঙ্গী হয়েছেন শ্যাম পিত্রোদা। আমেরিকা থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে শাসক দল বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করেছেন রাহুল। তবে, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চিনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের মতো বিষয়ে মোদী সরকারের বিদেশ নীতিকে সমর্থন করেছেন কংগ্রেস নেতা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে শ্যাম পিত্রোদা বলেছেন, “তিনি (রাহুল গান্ধী) জানেন ভারত সরকার কোথায় ঠিক কাজ করছে, আমরা সবাই তা সমর্থন করি। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বিদেশে অভ্যর্থনা পাচ্ছেন। আমি এতে খুশি। কারণ, দিনের শেষে তিনি আমারও প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ভুল করবেন না। তিনি সংবর্ধনা পাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, বিজেপির প্রধানমন্ত্রী বলে নয়। এই দুটো বিষয়কে আলাদাভাবে দেখতে হবে। দেড়শো কোটি জনসংখ্যার দেশের প্রধানমন্ত্রী সর্বত্র সম্মান পাওয়ার যোগ্য এবং আমি এটা নিয়ে গর্বিত।”

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে ২২ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁকে সরকারি নৈশভোজেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। আসলে চিনের মোকাবিলায়, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বাড়াতে আগ্রহী বাইডেন প্রশাসন। তাদের মতে, বর্তমান বিশ্বে মুক্ত ও স্বৈরাচারী সমাজের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা চলছে। আর এই প্রতিযোগিতায় জিততে বিশ্বের বৃহত্তম এবং বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে। মার্কিন হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি চিঠিতে বলেছেন, “আমাদের সাধারণ মূল্যবোধ এবং বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতি অঙ্গীকারের ভিত্তিতে, আমাদের দুই দেশের অংশীদারিত্ব ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে।” এর আগে ২০১৬ সালে মার্কিন সংসদের দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার , মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সামনে তিনি কী বলেন, সেটাই দেখার।