নয়া দিল্লি: আজ, সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। পুরানো সংসদ ভবনেই বসেছে এই বিশেষ অধিবেশন। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে নতুন সংসদ ভবনে শুরু হবে বিশেষ অধিবেশন। অর্থাৎ পুরানো সংসদ ভবনে এদিনের অধিবেশনই শেষ অধিবেশন। তাই শেষদিনের অধিবেশনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে আবেগঘন হয়ে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। সংসদ ভবনে পা রাখার প্রথম দিনের মুহূর্তের কথাও তুলে ধরেন তিনি। রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মের চা বিক্রেতা থেকে যে সাংসদ হবেন, তা তিনি কখনও কল্পনা করেননি। দেশের মানুষ অনেক আশীর্বাদ, ভালবাসা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন বারাণসীর সাংসদ (Varanasi MP) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২০১৪ সালে প্রথম সংসদ ভবনে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থেকে সরাসরি তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। বারাণসী কেন্দ্র থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। তারপর ২০১৯ সালেও বারাণসী কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসেন। আগামী বছর ফের লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। এবারেও তিনি জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে হ্যাটট্রিক করবেন নরেন্দ্র মোদী।
২০১৪ সালের মে মাসে সাংসদ হিসাবে পুরানো সংসদ ভবনে প্রবেশের মুহূর্তে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে গণতন্ত্রের পীঠস্থানকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন সেকথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই গণতন্ত্রের মন্দিরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি পা রাখি। আমি কল্পনা করিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই সংসদ ভবন থেকে বিদায় নেওয়ার সময়টা খুবই আবেগঘন। এই ভবনের সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।” এরপরই ব্যক্তিগত জীবনের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “রেলওয়ের প্ল্যাটফর্মে চা বিক্রি করা একটা গরিব বাচ্চা সাংসদ হয়েছে। এটা আমি কখনও কল্পনা করিনি। দেশ আমাকে এত আশীর্বাদ, এত ভালবাসা দেবে কখনও ভাবিনি।”
বিগত ৭৫ বছরে এই সংসদ ভবন অনেক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। খাট্টা-মিঠা অনেক ঘটনা যেমন আছে, তেমন অনেক গৌরবের মুহূর্তও রয়েছে। আর এই গৌরব সকলের, সকল দেশবাসীর বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাই নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশ করলেও ইতিহাসের সাক্ষীবহ পুরানো সংসদ ভবন থাকবে বলেও জানান নমো।