Covid-19 4th Wave : বিশ্বে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ, তবে কি আছড়ে পড়তে চলেছে চতুর্থ ঢেউ?
Covid-19 4th Wave : চিন, ফ্রান্স, ইতালি সহ একাধিক দেশে করোনা সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী। এর মধ্যে চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
নয়া দিল্লি : দেশে নিম্নমুখী করোনা সংক্রমণ। ওমিক্রনের ত্রাসের মধ্যেই জানুয়ারি মাসে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল করোনা সংক্রমণ। কিন্তু ধীরে ধীরে তা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তাই দেশে কোভিড বিধিও শিথিল করা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে ২০২২ এর জুন মাসে কোভিড-১৯ এর চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের করোনা পরিস্থিতি সেরকমই পূর্বাভাস দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ভারতের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও বিশ্বের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি দেখে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কপালে। চিনে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাধ্য় হয়ে পুনরায় লকডাউনের পথে হাঁটতে হয়েছে চিনকে। ফ্রান্স, ইতালিতেও সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
চিনে করোনা সংক্রমণ
সম্প্রতি চিনে নতুন করে সংক্রমণের বাঁধ ভেঙেছে। দৈনিক প্রায় হাজারের উপরে আক্রান্তের সংখ্যা চিনে। কোভিড-১৯ এর প্রথম ঢেউয়ে চিনে আক্রান্তের সংখ্যায় হাজার ছুঁতে পারেনি। ফলে চিনে নতুন করে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। চিনের সবচেয়ে জনবহুল শহর সাংহাইতে সোমবার থেকে দুই দফার লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে।
ফ্রান্সে করোনা সংক্রমণ
ফ্রান্সেও করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিপুলভাবে বেড়েছে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যাও। গতকাল এক লাফে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১,০৭৩ জন। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সর্বোচ্চ এই সংখ্যা।
ইতালিতে করোনা সংক্রমণ
সোমবার ইতালিতে দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৩০,৭১০। তার আগের দিন করোনা সংক্রমণ ছিল ৫৯,৫৫৫। তবে মৃতের সংখ্যা ৮২ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৫। গত সপ্তাহের শুক্রবার ৭৫,৬১৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সংখ্যাটা ছিল ৮১,৮১১।
ভারতে করোনা সংক্রমণ
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১,২৫৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৩৫ জন। যদিও ভারতে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী তবে এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের ছবিতে চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অন্তত গত দুই বছরে করোনার বিভিন্ন ঢেউকে এই প্যাটার্নেই আছড়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। করোনাবিধি শিথিল হলেও সরকারের তরফে বারবার বলা হয়েছে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।