২০১৪-র ১৭ জানুয়ারি দিল্লির একটি অভিজাত হোটেল থেকে উদ্ধার হয় ৫২ বছর বয়সী সুনন্দা পুস্করের দেহ। ময়নাতদন্তে তাঁর পাকস্থলীতে বিষের উপস্থিতি মেলে। এরপরই অভিযোগের তির ওঠে কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে। সুনন্দার মৃত্য়ুর কারণ আরও স্পষ্ট ভাবে জানতে এফবিআইয়ের কাছে ভিসেরার নমুনা পাঠানো হয়। পাকস্থলী, প্লীহা, যকৃৎ ও মূত্রের নমুনা পরীক্ষা করে ন’মাস পরে রিপোর্ট পাঠায় এফবিআই। সেই রিপোর্টে জানানো হয়, নমুনা হিসাবে পাঠানো প্রত্যেকটি দেহাংশেই বিষের উপস্থিতি মিলেছে। সুতরাং বিষক্রিয়ার কারণেই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল সুনন্দা পুস্করের।
‘সাড়ে সাত বছরের দুঃস্বপ্নের অবসান’, স্ত্রী সুনন্দা পুস্করের মৃত্যু মামলায় অব্যাহতি শশী থারুরের
Sunanda Pushkar Case: তদন্তে জানা গিয়েছিল, মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগেই স্বামী শশি থারুরকে একটি ই-মেইল পাঠিয়েছিলেন সুনন্দা। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘আমার বেঁচে থাকার আর কোনও ইচ্ছা নেই। শুধু আমার মৃত্যুই চাইছি।’’
নয়া দিল্লি: স্ত্রী সুনন্দা পুস্কর(Sunanda Pushkar)-র মৃত্য়ু মামলায় অব্য়াহতি পেলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor)। বুধবার দিল্লি আদালত(Delhi Court)-র তরফে এই মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দিল্লির একটি পাঁচতারা হোটেলের স্য়ুইট থেকে উদ্ধার হয় সুনন্দা পুস্করের দেহ। দিল্লি পুলিশ শশী থারুরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও নৃশংসতার অভিযোগ আনে। তবে এ দিন আদালতের তরফে শশী থারুরের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়।
আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পরই কংগ্রেস নেতা শশী থারুর আদালতে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। সাড়ে সাত বছর ধরে অকথ্য় অত্যাচার থেকে মুক্তি পেলাম। দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর ভরসা ছিল। এ বার আমরা সবাই সুনন্দার জন্য শোক পালন করতে পারব।” শশী থারুরের আইনজীবীও এ দিন আদালতে জানান, বিশেষ তদন্তকারী দল বিনা কারণে শশী থারুরকে হেনস্থা করেছেন। কোনও প্রমাণ জমা দিতে না পারায় তাঁকে সমস্ত মামলা থেকে অব্য়াহতি দেওয়া হোক।