CM MK Stalin Writes to Home Ministry: ‘সঠিক সময়ে পূর্বাভাস মেলে না, বিপর্যয় রুখব কী করে?’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নালিশ মুখ্যমন্ত্রীর

CM MK Stalin Writes to Home Ministry: আরও দ্রুত ও নিশ্চিত আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য় প্রযুক্তির উন্নতির প্রয়োজন, এ কথা স্বীকার করে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন বলেন, "আধুনিক যন্ত্রাংশ ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য় অর্থ সাহায্যের প্রয়োজন।"

CM MK Stalin Writes to Home Ministry: 'সঠিক সময়ে পূর্বাভাস মেলে না, বিপর্যয় রুখব কী করে?' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নালিশ মুখ্যমন্ত্রীর
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 01, 2022 | 5:04 PM

চেন্নাই: সারা বছরই নানা ঝঞ্ঝা, নিম্নচাপ-ঘূর্নাবর্তের ঠেলায় বৃষ্টিতে ভেসেছে গোটা দক্ষিণ ভারত (South India)। বছর শেষেও আচমকা ঘূর্ণাবর্তের জেরে অতি ভারী বৃষ্টি নেমেছে তামিলনাড়ু(Tamil Nadu)-তে, আগামী কয়েকদিনও জারি থাকবে এই বৃষ্টি। এরইমধ্যে নতুন বছরে আবহাওয়া দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তামিলনাডুুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন(MK Stalin)। বছরের প্রথম দিনেই তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Union Home Ministry) কাছে চিঠি পাঠালেন। সেই চিঠিতে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন যে, আবহাওয়া দফতর (IMD) থেকে আগে থেকে বিপর্যয় নিয়ে সতর্ক করা হয় না, ফলে রাজ্যবাসীকে চরম সমস্যার মুখে পড়তে হয়।  আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য আরও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত খরচ করার অনুরোধও জানিয়েছেন।

বছর শেষে বৃষ্টির দাপট:

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে তামিলনাড়ুতে। বেলা বাড়তেই বৃদ্ধি পেয়েছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জেরে রাজ্য়ের একাধিক জায়গায় জল জমে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর (IMD) সূত্রে জানানো হয়েছে , আগামী কয়েক দিনও রাজ্যজুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।  সতর্কতাবশে ৪ জেলায় লাল সতর্কতা(Red Alert)  জারি করা হয়েছে।

 মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ:

৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রাজ্য়জুড়ে যে ভারী বৃষ্টি হয়েছে, তার প্রেক্ষিতেই এ দিন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লিখে বলেন, “আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যে চেন্নাইয়ের আবহাওয়া দফতরের প্রযুক্তিতে উন্নতি আনা হয়, যাতে আগে থেকেই বিরূপ আবহাওয়া নিয়ে সতর্কতা জারি করা যায় এবং রাজ্য সরকারকেও আগে থেকে সতর্ক করা যায়।”

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানান, চেন্নাইয়ের হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ীই রাজ্য সরকার আসন্ন বিপর্যয় নিয়ে প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু আমাদের চোখে পড়েছে যে আবহাওয়া দফতর থেকে আগে থেকেই বিপর্যয়ের পূর্বাভাস বা লাল সতর্কতা জারি করা হচ্ছে না, ফলে রাজ্য সরকারও যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছে না। এর জেরে সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে, চিকিৎসা ক্ষেত্রেও নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আগে থেকে সতর্কতা জারি না করায় দামী ও জরুরি পরিকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

প্রযুক্তির উন্নতির জন্য প্রয়োজন অর্থ সাহায্যের:

আরও দ্রুত ও নিশ্চিত আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য় প্রযুক্তির উন্নতির প্রয়োজন, এ কথা স্বীকার করে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন বলেন, “আধুনিক যন্ত্রাংশ ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য় অর্থ সাহায্যের প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ করছি যে আইএমসির পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য করা হোক। ”

বৃষ্টির কারণ:

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ু উপকূলবর্তী এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত ( তৈরি হয়েছে, যার জেরে বছর শেষেও ফের বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। শুক্রবার থেকে ঘূর্ণাবর্তটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে, এরফলে রাজ্য়জুড়েই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আজ ও আগামিকাল তামিলনাড়ুর উত্তর উপকূলীয় এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ৩ জানুয়ারি থেকে ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমতে থাকবে। পার্শ্ববর্তী রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশেরও দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকায় আগামী তিনদিন বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ মানুষের ভোগান্তি:

চেন্নাই সহ তামিলনাড়ুর একাধিক রাজ্যের অন্যতম বড় সমস্যা হল জমা জল। সামান্য বৃষ্টি হলেও রাজ্যের একাধিক জায়গায় জল জমে যায়। গতকালের বৃষ্টির জেরেও থমকে যায় চেন্নাইয়ের যান চলাচল। একদিকে রাস্তায় জমা জল, অন্যদিকে, সাবওয়েতেও জল ঢুকে যাওয়ায়, তিনটি সাবওয়ে বন্ধ করে দিতে হয়।

বিরোধীদের সমালোচনা:

প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী তথা এআইএডিএমকে নেতা ইকে পালানিস্বামী শাসকদলের সমালোচনা করে বলেন, “একদিনের বৃষ্টিতেই চেন্নাই জলে ডুবে যায়। রাজ্য় সরকারের আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল। সম্প্রতি বন্য়ার পরও একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতেই সরকারের ব্যর্থতা বোঝা যাচ্ছে।”