Omicron Sub Variant: দেশে ঢুকে পড়ল ওমিক্রনের নয়া দুই সাব ভ্যারিয়েন্ট, কতটা উদ্বেগের হতে পারে এই সংক্রমণ?
Omicron Sub Variant: জানা গিয়েছে. আক্রান্তদের মধ্যে চারজন বিএ.৪ ভ্যারিয়েন্টে এবং বাকি তিনজন বিএ.৫ ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হয়েছিলেন। আক্রান্তদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও তিনজন মহিলা রয়েছেন।
মুম্বই: ফের একবার করোনা (COVID-19) নিয়ে বাড়ছে চিন্তা। করোনার ওমিক্রন (Omicron) ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলার পরই দেশে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছিল আক্রান্তের সংখ্যা। এ বার ওমিক্রনের নয়া দুই সাব-ভ্যারিয়েন্টেরও (Sub Variant of Omicron) খোঁজ মিলল দেশেই। শনিবারই মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সরকারের তরফে জানানো হয়, রাজ্যে প্রথম ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএ.৪ ও বিএ.৫-র খোঁজ মিলেছে। মোট সাতজনের শরীরে এই নয়া সাব ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। এদের মধ্যে চারজন বিএ.৪ সাব ভ্যারিয়েন্ট ওবং তিনজন বিএ.৫ সাব ভ্য়ারিয়েন্টে আক্রান্ত।
মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পুণে থেকেই আক্রান্ত সাতজনের খোঁজ মিলেছে। প্রত্যেকেরই মৃদু উপসর্গ ছিল এবং বাড়িতেই তাদের চিকিৎসা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ওমিক্রনের এই সাব লিনিয়েজের খোঁজ গত এপ্রিল মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে আক্রান্তের খোঁজ মিললেও, ভারতে এই প্রথম ওমিক্রনের বিএ.৪ ও বিএ.৫ সাব ভ্য়ারিয়েন্টে আক্রান্তের খোঁজ মিলল।
মহারাষ্ট্র সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমেই এই নয়া সাব ভ্যারিয়েন্টের হদিস মিলেছে। প্রথমে ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের তরফে নয়া ভ্যারিয়েন্টের কথা জানানো হয়। এরপরে তা ফরিদাবাদের ইন্ডিয়ান বায়োলজিক্যাল ডেটা সেন্টারের তরফে যাচাই করে নিশ্চিত করা হয় যে ওই সাতজন ওমিক্রনের নয়া দুই সাব ভ্যারিয়েন্টেই আক্রান্ত হয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে. আক্রান্তদের মধ্যে চারজন বিএ.৪ ভ্যারিয়েন্টে এবং বাকি তিনজন বিএ.৫ ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হয়েছিলেন। আক্রান্তদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও তিনজন মহিলা রয়েছেন। চারজনের বয়স যেমন ৫০ উর্ধ্ব, তেমনই ২০ থেকে ৪০ বছরের বয়সসীমার মধ্যেও দুইজন আক্রান্ত রয়েছেন। একটি নয় বছরের বাচ্চাও ওমিক্রনের নয়া ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।
৯ বছরের নাবালক বাদে বাকি ছয়জন আক্রান্তেরই করোনা টিকার দুটি ডোজ় নেওয়া ছিল। একজন বুস্টার ডোজ়ও নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সকলেরই মৃদু উপসর্গ ছিল এবং বাড়িতে একান্তবাসে থেকেই তারা সুস্থ হয়ে গিয়েছেন।
গত ৪ মে থেকে ১৮ মে-র মধ্যে আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন দক্ষিণ আফ্রিকা ও বেলজিয়াম থেকে সম্প্রতিই ফিরেছিলেন। অপর তিনজন কেরল ও কর্নাটকে গিয়েছিলেন। কেবল দুইজন আক্রান্তেরই কোনও ভ্রমণের ইতিহাস নেই।