Impotent Husband: স্বামী নপুংশক, সঙ্গম করতে পারেন না! থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের স্ত্রীর
Uttar Pradesh: মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআরও দায়ের করেছে পুলিশ। মহিলার স্বামী সহ প্রতারণায় যুক্ত মোট সাত জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
শাহজাহানপুর: ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব হুল্লোড় করেছিল বিস্তর। বরপক্ষকে বিশাল অঙ্কের পণ দিয়েছিলেন কণের বাবা। লক্ষাধিক নগদ টাকা ছাড়াও বিয়েতে যৌতুক দেওয়া হয়েছিল বরকে। বিয়ের অনুষ্ঠান মিটে গিয়েছে। স্বামী-স্ত্রী একে অপরের কাছে থাকা শুরু করেছেন। কিন্তু কিছুতেই সঙ্গম করছেন না স্বামী। বেশ কয়েক সপ্তাহ এ ভাবেই কেটে গেল। তার পর স্ত্রী বুঝতে পারলেন তাঁর স্বামী আসলে নপুংশক। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সব জেনে শুনেই ঠকিয়েছেন তাঁকে। বিয়ের নামে টাকা পয়সা আদায়ই ছিল তাঁদের মূল লক্ষ্য। এর পরই থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরে।
ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআরও দায়ের করেছে পুলিশ। মহিলার স্বামী সহ প্রতারণায় যুক্ত মোট সাত জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ঘটনা নিয়ে শাহজাহানপুরের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সঞ্জীব বাজপেয়ী সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, পুনায়ান থানার অন্তর্গত একটি গ্রামের বাসিন্দা অভিযোগকারিণী মহিলা। তাঁর সঙ্গে শাহজাহানপুরের এক ব্যক্তির বিয়ে হয়। বিয়ের পর ওই মহিলা জানতে পারেন তাঁর স্বামী নপুংশক। এ কথা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের জানানোয় ওই মহিলাকে মারধর করা হয়। এমনকি তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।
ওই পুলিশ অফিসার আরও জানিয়েছেন, বিয়ের সময় মহিলার পরিবারের থেকে ১০ লক্ষ টাকা নগদ নিয়েছিল তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। পাশাপাশি বিয়ের অন্যান্য যৌতুকও নিয়েছিল তাঁরা। বিয়ের পর দিন কয়েক স্বামীর সঙ্গে কাটানোর পরই তিনি বুঝতে পারেন, ওই ব্যক্তি নপুংশক। এই ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই অফিসার। এর মধ্যে রয়েছে ওই মহিলার স্বামীও। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।