UP Physical Assault: আখের ক্ষেতে ‘গণধর্ষণ’ ১৩ বছরের কিশোরীকে, বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিল দিদি ও তাঁর প্রেমিকেরাই!
UP Physical Assault: সম্প্রতিই ১৩ বছরের ওই কিশোরী জানতে পেরেছিল যে তাঁর দিদির অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে, তাও আবার চারজনের সঙ্গে। নিজের কুকীর্তির বিরোধিতা করাতেই বোনকে চরম শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁর দিদি।
লখনউ: খুব একটা বনিবনা কখনওই ছিল না। বোনের সঙ্গে প্রায় সময়ই বচসা লেগে থাকত দিদির। কিন্তু গোপন কথা জানতে পেরে যাওয়ায় বোনের উপর এমন প্রতিহিংসা নিতে পারে, একথা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। প্রাতঃকর্ম করার নাম করেই ১৩ বছরের কিশোরীকে আখ ক্ষেতে নিয়ে গিয়েছিল দিদি। সেখানেই ধর্ষণ করা হল ওই কিশোরীকে। তবে এখানেই শেষ নয়। ওই কিশোরীর গলায় ওড়না পেঁচিয়েই খুন করে অভিযুক্তরা। বোনকে যে মুহূর্তে ধর্ষণ করা হচ্ছে, সেই সময় ক্ষেতের বাইরেই প্রেমিকদের নিয়ে পাহারা দিল দিদি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের লখিমপুরে। পুলিশ ইতিমধ্যেই সাতজনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবারই ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করে চার ব্যক্তি। প্রাতঃকর্ম করার নাম করে আখ ক্ষেতে নিয়ে গিয়েছিল ওই কিশোরীর দিদি। সেখানেই লুকিয়ে ছিল ৬-৭ জন। কিশোরী ক্ষেতের ভিতরে ঢুকতেই তাঁকে টেনে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। চারজন মিলে ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে। এরপর ওই কিশোরীরই গলার ওড়না পেঁচিয়ে খুন করা হয়।
পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন ধর্ষণে জড়িত। বাকিরা নির্যাতিতার দিদির সঙ্গে ক্ষেতের বাইরে পাহারা দিচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তদের সকলেরই বয়স ১৮ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে।
জেরায় জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা কিশোরীর সঙ্গে প্রায় সময়ই তাঁর দিদির বচসা লেগে থাকত। সম্প্রতিই ১৩ বছরের ওই কিশোরী জানতে পেরেছিল যে তাঁর দিদির অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে, তাও আবার চারজনের সঙ্গে। নিজের কুকীর্তির বিরোধিতা করাতেই বোনকে চরম শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁর দিদি। মঙ্গলবার সকালে ওই কিশোরীকে তাঁর দিদি বাড়ির কাছেরই একটি আখের ক্ষেতে নিয়ে যায় প্রাতঃকর্ম সাড়ার নাম করে। সেখানেই অপেক্ষা করছিল রঞ্জিৎ চৌহান, অমর সিং, অঙ্কিত চৌহান ও সন্দীপ চৌহান। তাঁরা ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে খুন করে।
গোটা ঘটনার সময়ই ক্ষেতের বাইরে অপর দুই যুবকের সঙ্গে পাহারা দিচ্ছিলেন নির্যাতিতার দিদি। পরে দুপুরের দিকে গ্রামবাসীরাই ওই কিশোরীর নিথর দেহ দেখতে পায়। পুলিশে খবর দেওয়া হলে প্রথমে নির্যাতিতার দিদি না জানার ভান করলেও, পরে পুলিশি জেরায় গোটা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নেয়।