KMC: পার্কিং ফি-র পর এবার বর্ধিত লাইসেন্স ফি নিয়ে পিছু হটল কলকাতা পুরনিগম
KMC: এবার বিজেপির দাবিকেই কার্যত মান্যতা দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সোমবার মেয়র পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল এই বিষয়ে।
কলকাতা: কলকাতা পুরনিগম (KMC) এলাকার ট্রেড লাইসেন্স ফি (Trade Licence Fee) আচমকাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়। যদিও পরে নবান্নের হস্তক্ষেপে সেই ফি বেঁধে দেওয়াও হয়েছিল। তবে বর্ধিত লাইসেন্স ফি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন কলকাতা পুরনিগমের বিজেপি কাউন্সিলররা। এবার বিজেপির দাবিকেই কার্যত মান্যতা দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সোমবার মেয়র পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল এই বিষয়ে।
পুরসভা সূত্রে খবর, ৫০০ বর্গ ফুট এর নিচে ব্যবসায়ী স্থলের যাঁরা মালিক রয়েছেন,তাঁদের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কোনও বড় টাকা নেওয়া হবে না। এই টাকা যুক্ত থাকার কারণেই ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ফি অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তবে ব্যবসায়ীদের দিতে হবে সামান্য টাকা। সর্বোচ্চ ১০০ টাকা দিতে হবে তাঁদের। কিন্তু এই ক্যাটেগরিতে হোটেল বা রেস্তোরাঁর মালিক থাকবে না।
৫০০ বর্গফুটের উপরে থাকা ব্যবসায়িকস্থলগুলির মালিকদের ট্রেড লাইসেন্স ফি’র সঙ্গে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ফি দিতে হবে। তবে সেটা খুব বেশি পরিমাণে দিতে হবে না। যিনি ওই সম্পত্তির মালিক বা ব্যবসায়ী থাকবেন তিনি কলকাতা পুরনিগমের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে নিজের অংশ থেকে নির্গত আবর্জনা কত বের হচ্ছে তার মূল্যায়ন করবেন। সেই অনুযায়ী ট্রেড লাইসেন্সের ফি’এর সঙ্গে ওই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ফি যুক্ত হবে। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এর আগে পার্কিং ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও তা প্রত্যাহার করেছিল কলকাতা পুরনিগম।
প্রসঙ্গত, কলকাতার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সজল ঘোষ এদিন অভিযোগ করেন, লাইসেন্স ফি-র নামে লুট চলছে। সামান্য একটা চপের দোকানদারের ওপর বিভিন্নভাবে লাইসেন্স ফি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জোর করে ট্যাক্স বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন সজল। এরপর বর্ধিত ফি নিয়ে এ দিন সিদ্ধান্ত নেন মেয়র।