Jharkhand MLAs: মধ্য কলকাতায় এই স্কুটি থেকেই কি হয়েছিল টাকার লেনদেন? প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ
CID : মধ্য কলকাতার এক হোটেলের সামনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে একটি স্কুটিতে চেপে একজন আসেন, সঙ্গে কালো একটি ব্যাগ নিয়ে। সূত্রের দাবি, ওই ব্যাগে করেই টাকার লেনদেন করা হয়েছিল।
কলকাতা : ক্রমেই অস্বস্তি বাড়ছে ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের। সিআইডির বদলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার যে আবেদন বিধায়করা করেছিলেন, তা খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য গোয়েন্দাদের উপরেই ভরসা রাখছে আদালত। আর এরই মধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া ক্রমেই এগোতে শুরু করেছে সিআইডি গোয়েন্দারা। আর এরই মধ্যে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। মধ্য কলকাতার এক হোটেলের সামনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে একটি স্কুটিতে চেপে একজন আসেন, সঙ্গে কালো একটি ব্যাগ নিয়ে। সূত্রের দাবি, ওই ব্যাগে করেই টাকার লেনদেন করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই হাওড়ার পাঁচলা থানা এলাকায় একটি কালো রঙের চার চাকার গাড়ি আটকায় পুলিশ। গাড়িতে লাগানো ছিল এমএলএ লেখা স্টিকার। ভিতরে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক। সেই গাড়ির ভিতর থেকে লাখ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তিন বিধায়ককে। ঘটনার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। এদিকে ওই টাকার উৎস কী, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন রাজ্যের গোয়েন্দারা। সেই সূত্র ধরে দিল্লি পর্যন্ত ছুটে গিয়েছেন তাঁরা। কিছুদিন আগেই এই টাকার উৎসের খোঁজে নেমে, কলকাতার বিকানের বিল্ডিং-এর একটি ট্রেডিং সংস্থার অফিসে হানা দেন সিআইডি আধিকারিকরা। চলে তল্লাশি। সেখান থেকেও বেশ কয়েক লাখ টাকা নগদে উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা।
বিকানের ভবনের ওই অফিসটি মহেন্দ্র আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তির। তাকে আটক করে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। নিয়ে যেতে হয়েছিল হাসপাতালেও। পরে অবশ্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে বিধায়কদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ওই টাকা ঘোড়া কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত হতে পারে বলে দাবি করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা। টাকা উদ্ধারের পরের দিনই তিনি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছে কংগ্রেস।