Coal Scam: বেআইনিভাবে কয়লা তোলার মামলায় লালার জামিনের আর্জি খারিজ করল আদালত
Coal Scam: শুক্রবারই আদালতে লালার আগাম জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল। আবেদন জানান লালার আইনজীবী। কিন্তু সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখে সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।
বাঁকুড়া: কয়লা পাচার কাণ্ডের মূল এবং অন্যতম অভিযুক্ত লালা ওরফে অনুপ মাজির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল বাঁকুড়া জেলা আদালত। শুক্রবারই আদালতে লালার আগাম জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল। আবেদন জানান লালার আইনজীবী। কিন্তু সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখে সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।
বাঁকুড়ার মেজিয়া থানায় ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই কালিকাপুর এলাকায় বেআইনিভাবে কয়লা উত্তোলন ও পাচার সংক্রান্ত একটি অভিযোগ জমা পড়ে। সেই অভিযোগ জমা দেন স্থানীয় বাসিন্দা কালিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করার পাশাপাশি পুলিশ সেই ঘটনার তদন্তে নেমে লালা ওরফে অনুপ মাজির নাম পায়। সেই মামলাতেই বেশ কিছুদিন আগে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। আদালতে জমা করা হয় কেস ডায়েরিও। এরপরই আজ লালার আগাম জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী। কিন্তু বাঁকুড়া আদালতের বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায় মামলাটি খারিজ করেন।
উল্লেখ্য, লালার বিরুদ্ধে থাকা বেআইনিভাবে কয়লা উত্তোলন সংক্রান্ত একই মামলা গত মাসেই হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যায়। কারণ নিম্ন আদালতেও যে এই সংক্রান্ত আরেকটি মামলা চলছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য উচ্চ আদালতকে জানানো হয়নি। তথ্য গোপনের কারণে আবেদনকারীর আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। কেন পৃথক মামলার তথ্য গোপন করা হল? আদালতের এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি মামলাকারী। তারপরই অনুপ মাজির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এই মামলা খারিজ করে আদালত।
১৯৯১ সালে বাঁকুড়ার মেজিয়ায় মাটির নিচে কয়লা খনির খোঁজ পাওয়া যায়। তারপর থেকে ইসিএলের মাধ্যমে কয়লা উত্তোলন শুরু হয় এই খনি এলাকায়। অভিযোগ, এরপরই এলাকায় শুরু হয় বেআইনি কয়লা উত্তোলন। স্থানীয়রা এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করেন। বিভিন্ন জায়গায় এ নিয়ে অভিযোগও জানান। এরপরই সেখানে বসানো হয় পুলিশ ক্যাম্প। সূত্রের খবর, এরপর কয়লা চুরির ক্ষেত্রে কিছুটা লাগাম দেওয়া গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: PM Narendra Modi: তৃতীয় ঢেউ কি শিয়রেই? করোনা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বড় পরামর্শ নমোর
কিন্তু ২০১৫ সালে তৎকালীন বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার সেই ক্যাম্প তুলে দেন বলে আদালতে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তারপর থেকে দেদার বেআইনি কয়লা তোলা শুরু হয়। ফলে কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বাড়ি ঘরে ফাটল ধরতে থাকে। ২০১৭ সালে গ্রামবাসীরা হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই মামলায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি জেলাশাসককে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু আদতে কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ফের চলতি বছরের অগস্টে মামলা হয় হাইকোর্টে। এলাকায় ফের পুলিশ ক্যাম্প বসানো এবং সিবিআই তদন্ত চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: যে পাঁচ কারণে প্রিয়াঙ্কা… ‘বাংলার মেয়ের’ বিপক্ষে ‘ভবানীপুরের মেয়ের’ উপর আস্থা বিজেপির