তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের আহ্বায়ক ছিলেন দেবাঞ্জন! বিস্ফোরক তথ্য দিলীপের

Kasba Fake Vaccination: তৃণমূল অবশ্য দাবি করে, কোনও জনপ্রতিনিধির সঙ্গে দেবাঞ্জনের ছবি থাকার অর্থ এই নয় যে, জালিয়াতিতে সেই জনপ্রতিনিধিও জড়িত!

তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের আহ্বায়ক ছিলেন দেবাঞ্জন! বিস্ফোরক তথ্য দিলীপের
দেবাঞ্জন দেব
Follow Us:
| Updated on: Jul 02, 2021 | 12:16 PM

কলকাতা: দেবাঞ্জনের (Debanjan Deb) মতো রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ভুয়ো আধিকারিকদের দিয়ে ভোটে কারচুপি করেছে শাসক দল। সোশ্যাল মিডিয়ায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (BJP State President Dilip Ghosh)।

তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের আহ্বায়ক ছিলেন দেবাঞ্জন। সংগঠনের জড়িত থাকায় তাঁর সব কীর্তিকলাপই জানতেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের মদতেই এই ভুয়ো আধিকারিকেরা কাজ চালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন দিলীপ ঘোষ।

প্রথম থেকেই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে তৃণমূল যোগের অভিযোগ তুলে আসছিল বিজেপি। এর আগেও দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন, “নির্বাচনের সময় ভুয়ো গাড়ি, বাতি ব্যবহার করে ভোট প্রভাবিত করা হয়েছে। দেবাঞ্জনের মত আরও অনেকেই তাতে যুক্ত ছিলেন। সঠিক তদন্ত না হলে প্রয়োজনে আদালতে যাওয়া হবে।”

ইতিমধ্যেই ধৃত দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে প্রভাবশালী যোগ থাকার সূত্র খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। একাধিক তৃণমূল নেতার সঙ্গে দেবাঞ্জন দেবের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে বিতর্ক আরও বেড়েছে। অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের। এরই মধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিয়েছেন টুইট খোঁচা। আর তারপরই বিজেপি নেতা অমিত মালব্যর টুইট। প্রতিবাদে সোচ্চার  হয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ও।

বিজেপির অভিযোগ, এই ঘটনার পুরোদস্তুর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছে। আর এক্ষেত্রে তাঁদের হাতিয়ার কলকাতা পুলিশের সাইট থেকে একটি ‘ডিলিটেড টুইট’। তৃণমূল অবশ্য দাবি করে, কোনও জনপ্রতিনিধির সঙ্গে দেবাঞ্জনের ছবি থাকার অর্থ এই নয় যে, জালিয়াতিতে সেই জনপ্রতিনিধিও জড়িত!

আরও পড়ুন: ‘কত লোকই তো যায়, তাহলে দেবাঞ্জনের যা ছবি আছে সে সব মানতে হবে’

তবে এসবের মাঝেই বিতর্ক উস্কে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে দুটি ছবি দেখান তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। দুটি ছবি তোলপাড় ফেলে দেয়। তৃণমূল সাংসদ দাবি করেন, দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী অরবিন্দ বৈদ্যের সঙ্গে বহু দিন ধরেই ধনখড়ের যোগাযোগ ছিল। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি প্রথম যে ছবিটি সামনে আনেন, তাতে অরবিন্দকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে দেবাঞ্জনের পিছনে। ঠিক তার পরের ছবিতেই দেখা গিয়েছে, রাজ্যপালের পরিবারের সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অরবিন্দ। অর্থাৎ দেবাঞ্জন কাণ্ডে রাজ্যপাল যোগসূত্র উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল। বিতর্ক দানা বাঁধে। তারপরই অরবিন্দকে লালবাজারে তলব করেন গোয়েন্দারা। অতঃপর গ্রেফতারও হয়।