Dengue in Kolkata: ডেঙ্গি রোধে জরুরি বৈঠকে ফিরহাদ, নেওয়া হচ্ছে একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ
Dengue in Kolkata: ডেঙ্গি উদ্বেগ ক্রমেই বেড়েছে কলকাতায়। চিন্তা বেড়েছে নাগরিক মহলে। ডেঙ্গি প্রতিরোধে এবার কঠোর পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরনিগমের। জরিমানা থেকে শোকজের পথে মেয়র। ডেঙ্গি চিকিৎসায় নতুন বেড তৈরি করে ফিভার ক্লিনিক তৈরির সিদ্ধান্তও হয়েছে বলে খবর।
কলকাতা: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগ বেড়েছে কলকাতা পুরনিগমে। ইতিমধ্যেই শহর কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। এরইমধ্যে এবার কলকাতা পুরনিগমের ডেঙ্গি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। কলকাতার ১৬টি বোরো হেলথ অফিসারদের নিয়ে হল বৈঠক। বৈঠকে মেয়র বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বলে খবর।
সূত্রের খবর, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মশার লার্ভা মিললে, সংশ্লিষ্ট বাড়িতে নোটিশ পাঠানো হবে। তারপর কোর্টে টেনে আনা হবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকদের জরিমানা করা হবে। ডিজি বিল্ডিংকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে নির্মীয়মাণ বহুতল বা বাড়ির নির্মাণ স্থলে মশা বাহিত রোগের জীবাণুর লার্ভা মিলবে, সেই নির্মাণের দায়িত্বে থাকা প্রোমোটার বা মালিককে ৪৯৬এ ধারায় নোটিশ দেওয়া হবে। তারপরেও কাজ না হলে স্বাস্থ্য বিভাগের আইন অনুযায়ী ৪০১ ধারায় নোটিশ পাঠিয়ে ওই কাজ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। কিন্তু নোটিশ তোয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে গেলে বিল্ডিং বিভাগকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। এছাড়াও এই কাজে বিল্ডিং বিভাগের যে আধিকারিকরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবেন না, তাঁদের শোকজ করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, আগামী দিনে ডেঙ্গি ফিভার ক্লিনিক হিসাবে ব্যবহার করা হবে ইসলামিয়া হসপিটাল এবং খিদিরপুর মেটারনিটি হোমকে। খিদিরপুর মেটারনিটি হোমে ৪০টি বেড রয়েছে। ডেঙ্গি চিকিৎসার জন্য তা বাড়িয়ে ১০০ করা হবে। অন্যদিকে ইসলামিয়া হসপিটালে রয়েছে ২০০ বেড। সেখান থেকে বাড়িয়ে করা হবে ৩০০ বেড।
পাশাপাশি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি নিয়ে সরকারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাদের ফাঁকা বেডের সবকটি তথ্য দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। তার অনুমতি চাওয়া হবে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। এছাড়াও ডেঙ্গি মোকাবিলায় একটা হেল্পলাইন নম্বর চালু হতে চলেছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে। শীঘ্রই সামনে আসবে সেই নম্বর। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আধিকারিকদের মধ্যে সংযোগ তৈরি করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।