Kolkata Metro: অবশেষে জুড়ল দুই সুড়ঙ্গ, এবার সত্যিই সেক্টর ৫ থেকে হাওড়া যাওয়া যাবে
Kolkata Metro: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ পুরোপুরি তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে জানালেন কলকাতা মেট্রোরেল কর্পোরেশন লিমিটেডের (কেএমআরসিএল) আধিকারিকরা। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে এসপ্ল্যানেড ২.৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে যদি পূর্ব ও পশ্চিম, দু’দিকে যাওয়ার সুড়ঙ্গ তৈরি করা না যায় তাহলে সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা শুরু করা যেত না।

কলকাতা: অবশেষে স্বস্তি। বউবাজারের ভূগর্ভে দু’দিকের সুড়ঙ্গের খোলা দুই প্রান্তের শেষ ছয় মিটার ব্যবধান মিটিয়ে দেওয়া হল। জুড়ে দেওয়া হল দু’টি সুড়ঙ্গকে। আইটিডি সেমের যৌথ প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ররা দিন রাত এক করে সব থেকে জটিল কাজ শেষ করলেন।
২০১৯-এর ৩১ অগস্ট ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের উপরে মাটি ধসে গিয়ে বিপর্যয় দেখা দেয় বউবাজার দুর্গা পিতুরি লেন,স্যাকরাপাড়া লেন এবং গৌর দে লেনে। তারপরই ২০২২ থেকে ২০২৪ সালে আরও চারবার বিপর্যয় দেখা দেয় ভূ-গর্ভের ভিতরে। আদৌ কি কাজ শেষ হবে, এই প্রশ্ন নিয়েই দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছিল।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ পুরোপুরি তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে জানালেন কলকাতা মেট্রোরেল কর্পোরেশন লিমিটেডের (কেএমআরসিএল) আধিকারিকরা। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে এসপ্ল্যানেড ২.৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে যদি পূর্ব ও পশ্চিম, দু’দিকে যাওয়ার সুড়ঙ্গ তৈরি করা না যায় তাহলে সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা শুরু করা যেত না।
এই অংশে পূর্বমুখী, অর্থাৎ এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহের দিকে যাওয়ার সুড়ঙ্গটি তৈরি হয়ে গিয়েছিল পাঁচ বছর আগেই। কিন্তু বিপত্তি বেধেছিল পশ্চিমমুখী অর্থাৎ শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেডের দিকে যাওয়ার সুড়ঙ্গ তৈরির সময়ে। মাটি ধসে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর ঢুকে পড়েছিল সুড়ঙ্গে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সুড়ঙ্গে দ্রুত জমে যাওয়া কংক্রিট ঢেলে দেওয়া হয়েছিল।
পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ তৈরিতে ব্যবহার করা টানেল বোরিং মেশিনটি (টিবিএম) সেই প্রক্রিয়ায় পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। পরের পাঁচ বছর ধরে কখনও সুড়ঙ্গকে কংক্রিট মুক্ত করার কাজ চলে। কখনও আবার জমে যাওয়া টিবিএমকে বাইরে বের করে আনা হয় কয়েক মাস ধরে। এরই মাঝে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে চলেছিল অসমাপ্ত সুড়ঙ্গটি সম্পূর্ণ করার কাজও। অতি ধীর গতিতে এবং সম্ভাব্য সব রকম সতর্কতা অবলম্বন করার পুরস্কার মিলল অবশেষে। শেষ ২০ ফুটের ব্যবধান ঘুচিয়ে সুড়ঙ্গের মধ্যে ট্র্যাক বেড পাতার কাজটি শেষ করা গিয়েছে।

