No Dry Day: পুজোয় ‘ড্রাই ডে’ তোলায় অব্যাহত রাজনীতির কাদা ছোড়াছুড়ি
Kunal Ghosh: দু'দিন আগে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই নিয়ে রাজ্যকে খোঁচা দিয়েছিলেন। পুজোয় 'ড্রাই ডে' তুলে দেওয়া নিয়ে বলেছিলেন, 'বাংলায় এই কালচার আগে ছিল না।' তবে সম্প্রতি অসম সরকারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুজোয় 'ড্রাই ডে' না রাখার।
কলকাতা: পুজোয় এবারও কোনও ‘ড্রাই ডে’ থাকছে না। গত কয়েক বছর ধরেই এই চিত্র রয়েছে বাংলায়। সরকারের এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের সুরাপ্রেমীরা বেজায় খুশি। তবে এই নিয়ে রাজনীতির কচকচানি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। দু’দিন আগে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই নিয়ে রাজ্যকে খোঁচা দিয়েছিলেন। পুজোয় ‘ড্রাই ডে’ তুলে দেওয়া নিয়ে বলেছিলেন, ‘বাংলায় এই কালচার আগে ছিল না।’ তবে সম্প্রতি অসম সরকারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুজোয় ‘ড্রাই ডে’ না রাখার। পড়শি রাজ্যের সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেই এবার শুভেন্দুকে পাল্টা দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
তৃণমূল মুখপাত্র তথা শাসক দলের রাজ্য সম্পাদক এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “দুর্গাপুজোয় বাংলায় ড্রাই ডে না থাকা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী মেলোড্রামা করেছেন। কিন্তু হিমন্ত বিশ্বশর্মা ড্রাই ডে রাখার সমস্যা নিয়ে যে বিবৃতি দিচ্ছেন, তা শুভেন্দুর অবস্থানের থেকে বহু দূরে।” উল্লেখ্য, সেদিন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ড্রাই ডে সম্পর্কে মন্তব্য করার সময় বলেছিলেন, ‘ব্রিটিশরা এমন করেনি।’ শাসক শিবিরকে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তৃণমূলই প্রথম এই ‘কালচার’ শুরু করেছে।
রাজ্য সরকারের আর্থিক অবস্থার কথাও তুলে ধরেছিলেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য ছিল, ‘সরকারের কোষাগার শূন্য। তাই এভাবে যুব সমাজকে সর্বস্বান্ত করে সরকার কোষাগার ভরাতে চাইছে।’
এদিকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও আবার পুজোর সময়ে ‘ড্রাই ডে’ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবার। এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, যদি উৎসবের সময়ে মদ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তাহলে কালোবাজারি বেড়ে যেতে পারে। বিজেপি শাসিত অসম সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেই এবার শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা দিলেন কুণাল।