Kunal Ghosh: ‘মৃত ছেলের রক্তমাখা ভাত খাওয়ানো হয়েছিল বৃদ্ধা মাকে’, কংগ্রেসকে সাঁইবাড়ির ইতিহাস মনে করালেন কুণাল

Sainbari Murder: কুণাল ঘোষ বলেন, 'একের পর এক মৃত্যুই কেবল নয়, মৃত ছেলের রক্তমাখা ভাত খাওয়ানো হয়েছিল বৃদ্ধা মাকে। নৃশংস গণহত্যা হয়েছিল।'

Kunal Ghosh: 'মৃত ছেলের রক্তমাখা ভাত খাওয়ানো হয়েছিল বৃদ্ধা মাকে', কংগ্রেসকে সাঁইবাড়ির ইতিহাস মনে করালেন কুণাল
কুণাল ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 03, 2023 | 8:41 PM

কলকাতা: সাগরদিঘির ভোটে (Sagardighi Bye Election) তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। আর তারপর থেকেই বাম-কংগ্রেস নির্বাচনী বোঝাপড়ার সমীকরণ নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট, সেখানেও কি বাম-কংগ্রেস হাত ধরাধরি করে ময়দানে নামবে? এই নিয়ে যখন জোর জল্পনা, তখন তৃণমূল মুখপাত্র তথা শাসক দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন সাঁইবাড়ি গণহত্যার (Sainbari Massacre) কথা। সালটা ছিল ১৯৭০। ১৭ মার্চ। তখনও তৃণমূল কংগ্রেস গঠিত হয়নি। সেই সময় বর্ধমানের সাঁইবাড়িতে এক ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল গোটা বাংলা। কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকরা সেই সময় সিপিএম-এর কর্মী-সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল, মারা গিয়েছিলেন এক গৃহশিক্ষকও।

সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘একের পর এক মৃত্যুই কেবল নয়, মৃত ছেলের রক্তমাখা ভাত খাওয়ানো হয়েছিল বৃদ্ধা মাকে। নৃশংস গণহত্যা হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ১৭ মার্চ সাঁইবাড়ি দিবসে বর্ধমান সহ বিভিন্ন জায়গায় সিপিএম-এর সন্ত্রাস, গণহত্যা, নির্যাতন আবারও তুলে ধরা হবে।’ সাঁইবাড়ি দিবসে তৃণমূলের কর্মসূচির কথা জানিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর উদ্দেশে কুণালের প্রশ্ন, কংগ্রেস গলা মেলাবে কি না তৃণমূলের সঙ্গে। জানতে চাইলেন, ‘সাঁইবাড়ির প্রতিবাদ হবে তো?’ সেই সঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্রের বক্রোক্তি, ‘প্রতিবাদ তৃণমূলই করে চলেছে, আপনারা তো বিক্রি হয়ে গিয়েছেন।’

যদিও কুণাল ঘোষের এই কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায়ও। কুণাল ঘোষকে তাঁর পরামর্শ, ‘বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যে হত্যা ও রক্তপাত হয়েছে, সেই নিয়ে পথে নামুন। আমরাও কুণাল ঘোষের সঙ্গে পথে নামব। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে অন্যের চাদর ব্যবহারের মধ্যে কোনও বাহাদুরি আছে বলে আমি মনে করি না। সাঁইবাড়ি নিয়ে ওনাদের এত দরদ উথলে পড়ছে, তাহলে রেজ্জাক মোল্লার মতো সিপিএম নেতাকে দলে নিয়েছেন কেন? কমল গুহর ছেলে উদয়ন গুহ কোন গান্ধীবাদী আন্দোলনের নেতা ছিলেন? সেই সময় যাঁরা সিপিএম-এর হার্মাদ ছিল, আজ তাঁদের তৃণমূল দলে নিয়েছে। এখন কুণালবাবুরা দেখাতে চাইছেন তাঁরা সিপিএম বিরোধী। তাঁরা এখন ধরা পড়ে গিয়েছেন, তাই এসব বলছেন। প্রতিদিন বোমা উদ্ধার হচ্ছে।’

প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভটাচার্যের সঙ্গেও টিভি নাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল কুণাল ঘোষের বক্তব্য নিয়ে। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর বর্ধমানে কংগ্রেস দিনটি পালন করে। এতে নতুনত্বের তো কিছু নেই। আর যখন সাঁইবাড়ির ঘটনা ঘটেছিল তখন তৃণমূল কোথায় ছিল? জন্মও হয়নি। ওরা তো ক্ষমতায় এসে সাঁইবাড়ি নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল। তার রিপোর্ট কোথায় ? আজও প্রকাশিত হয়নি। তাদের কথার কী উত্তর দেব?’