Kunal Ghosh: পেট্রল ৫০, ডিজেল ৩০! মোদী সরকারের বর্ষপূর্তির কর্মসূচিতে আর কী কী অনুরোধ কুণালের?
Kunal Ghosh: কুণাল ঘোষের অনুরোধ, মোদী সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে, ৫০ টাকা প্রতি লিটার দরে পেট্রোল যেন দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আরও বেশ কিছু অনুরোধ করেন তিনি। যেমন, ৩০ টাকা প্রতি লিটার দরে ডিজেল। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার পিছু দাম ৫০০ টাকায় নামিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র।
কলকাতা : কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বর্ষপূর্তি পালনের পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। রয়েছে একগুচ্ছ কর্মসূচি। বিজেপি নেতৃত্বকে সেই কর্মসূচির মধ্যে কিছু সংযোজনের প্রস্তাব দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কুণাল বাবুর অনুরোধ, এই ক’দিন মোদী সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে, ৫০ টাকা প্রতি লিটার দরে পেট্রোল যেন দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আরও বেশ কিছু অনুরোধ করেন তিনি। যেমন, ৩০ টাকা প্রতি লিটার দরে ডিজেল। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার পিছু দাম ৫০০ টাকায় নামিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র। সেই সঙ্গে জীবনদায়ী ওষুধ ও সারের দামও কমিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। দেশে পেট্রো পণ্য ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিকে বক্রোক্তি করে কুণাল ঘোষ বলেন, “এর বাইরে যদি কোনওভাবে বর্ষপূর্তি পালন করতে চান, তা বাংলা তথা সারা ভারতের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে হয় না।”
এর পাশাপাশি কংগ্রেসকেও বাস্তব চিত্রটাও স্মরণ করিয়ে দেন কুণাল ঘোষ। বললেন, “কংগ্রেসকে ছাড়া চলতে হবে এমন কথা একবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেননি। আমরা বলেছি, বিজেপি বিরোধী শক্তি গড়ে তুলতে হবে। কংগ্রেস দায়িত্ব পালন করতে পারেনি বলেই বিজেপি সরকার গঠন হয়েছে ২০১৪ সাল ও ২০১৯ সালে। কংগ্রেসকে বুঝতে হবে, তারা বিজেপির বিরুদ্ধে যে লড়াইয়ের কথা বলছেন, তার জন্য প্রস্তুত নন। ইউপিএ-১ বা ইউপিএ-২ সরকার কি কংগ্রেসের একার সরকার ছিল নাকি? অন্য দলগুলি সমর্থন না দিলে, কংগ্রেস কি প্রধানমন্ত্রী পেত? রাহুল গান্ধী বা কংগ্রেসে যে নেতারা আঞ্চলিক দলগুলিকে অসম্মান করছেন, তাঁদের বলতে চাই – আমরা কংগ্রেসকে সরাতে চাই না।”
বরং কংগ্রেস নিজের ‘চূড়ান্ত অপদার্থতার’ জন্যই যে এই অবস্থা সেই কথাই ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন কুণাল ঘোষ। তাঁর মতে, “কংগ্রেসের ব্যর্থতায় বিজেপি বেড়েছে । বাংলায় বিজেপিকে তৃণমূল হারিয়েছে। বিহারে কংগ্রেস হেরে গিয়ে , নীতীশকে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছে । বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাহুল চলছেন না। রাহুলের অবস্থা জলসাঘর সিনেমার ছবি বিশ্বাসের মতো।” দলের অন্দরেই যে রাহুল গান্ধী সমালোচিত, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক। বললেন, “ঘরে বসে, টুইট করে, সাংবাদিক বৈঠক করে, চিন্তন শিবিরে বক্তৃতা দিয়ে আর লড়াইয়ের সময় বিদেশে ঘুরতে গিয়ে কংগ্রেসকে নিজের পায়ে দাঁড় করানো যায় না।”