Kalyan Chaubey on Kunal Ghosh: ‘বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন কুণাল’, এবার বিস্ফোরক কল্যাণ
Kalyan Chaubey on Kunal Ghosh: মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে বলেন, "এখন এই বিষয়টা প্রকাশ্যে আসার পর কুণাল হয়তো এমাসে বৈঠক করবেন না। কিন্তু, মাস দুয়েক পরও উনি যদি যান, তাহলে আমি অবাক হব না।" কল্যাণের অভিযোগের জবাব দিতে দেরি করেননি কুণাল।
কলকাতা: রাত পোহালেই মানিকতলা বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। তার কয়েকঘণ্টা আগে পরস্পরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ও বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। প্রথমে তাঁর সঙ্গে কল্যাণ চৌবের টেলিফোনিক কথোপকথনের অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করেন কুণাল। তারপরই পাল্টা মুখ খুললেন মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী। তিনি দাবি করলেন, বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল।
বুধবার মানিকতলা-সহ রাজ্যের চার বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। মানিকতলায় তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে। একুশের নির্বাচনের পর এই উপনির্বাচনেও বিজেপির টিকিটে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন কল্যাণ চৌবে। সেই কল্যাণের সঙ্গে তাঁর টেলিফোনিক কথোপকথনের অডিয়ো ক্লিপ এদিন প্রকাশ করেন কুণাল।
অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করে কুণাল দাবি করেন, কল্যাণকে ভোটে জিততে সাহায্য করলে ক্রীড়া ক্ষেত্রে রাজ্য কিংবা জাতীয় স্তরে পদ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন বিজেপি প্রার্থী। গত ৭ জুলাই রাত সাড়ে এগারোটায় কল্যাণ তাঁকে ফোন করেন বলে জানান কুণাল। ফোন করার কথা স্বীকার করলেও কল্যাণ জানান, কথোপকথনের একটা অংশ প্রকাশ করেছেন কুণাল।
এরপরই কুণালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন কল্যাণ। তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে এক মিডিয়েটরের মাধ্যমে আমাকে প্রস্তাব পাঠান যে উনি বিজেপিতে যোগ দিতে চান। এতে আমি কিছুটা অবাক হয়ে যাই। যেসময় কলকাতায় কোনও আসন পায়নি বিজেপি, সেইসময় উনি বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন। সেই প্রেক্ষিতে কথা হয়। এমাসের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কোথাও বৈঠক করতে চান।”
কুণালকে ফোন করা নিয়ে কল্যাণ বলেন, “আমি প্রার্থী হয়েছি। স্বাভাবিকভাবে সবার কাছে ভোট চেয়ে আর্জি জানাচ্ছি। অডিয়ো ক্লিপ আংশিকভাবে রাখা হয়েছে। উনি একটা সময় প্রায়ই আমার বাড়িতে আসতেন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর উনি বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁকে নেওয়া হয়নি। এই কিছুদিন আগেও ফের উনি বিজেপিতে আসতে চান।”
কুণালের সঙ্গে তাঁর আগে থেকেই পরিচয় রয়েছে জানিয়ে কল্যাণ বলেন, “বইমেলায় আমার একটা বই প্রকাশ হয়েছিল। সেখানে উনি উপস্থিত ছিলেন। উনি বলাতেই আমি ফোন করেছিলাম। ফোন রেকর্ড করার অভ্যাস আমার নেই। ওঁর সঙ্গে আমার কথার রেকর্ড যদি থাকত, তাহলে আসল বিষয়টা জানতে পারতেন।” এরপরই বিজেপি প্রার্থী বলেন, “এখন এই বিষয়টা প্রকাশ্যে আসার পর কুণাল হয়তো এমাসে বৈঠক করবেন না। কিন্তু, মাস দুয়েক পরও উনি যদি যান, তাহলে আমি অবাক হব না।”
কল্যাণের অভিযোগের জবাব দিতে দেরি করেননি কুণাল। তিনি মানিকতলার ভোটার নয় জানিয়ে কুণালের প্রশ্ন, “আমি মানিকতলার ভোটার না হওয়া সত্ত্বেও কেন ফোন করেছিলেন কল্যাণ চৌবে? অন্তর্ঘাত করাতে চেয়েছিলেন?” কল্যাণের সঙ্গে তাঁর আগে থেকে পরিচয় রয়েছে বলে জানালেন কুণালও। তবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগকে উড়িয়ে দিলেন। তৃণমূল নেতা কুণাল বলেন, “আপনার প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসা করুন। উনি বলে দেবেন, কুণাল কোনওদিন বিজেপিতে যোগ দেবেন না। কে কল্যাণ চৌবে? বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য যাঁর সঙ্গে আলোচনা করব। নরেন্দ্র মোদীকে আমি চিনি। দিলীপ ঘোষকে চিনি। বিজেপিতে যাওয়ার ইচ্ছা হলে পচা কল্যাণকে আমার লাগবে না।”