By Election in West Bengal: শান্তিপুর তো ভবানীপুর নয়! উপ নির্বাচনে ফের জোটের পথে বাম-কংগ্রেস?
Left Congress Alliance: ভবানীপুর উপ নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। দিল্লি থেকে নির্দেশ আসাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী।
প্রদীপ্ত কান্তি ঘোষ: বঙ্গের উৎসবের মরশুমেই হবে দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ এবং গোসবা বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন (By Election)। তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ বলে মন্তব্য করলেও নির্বাচনে লড়তে হবে। তাই প্রাথমিক ভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করল বামেরা। তবে কাঁটা হতে শান্তিপুর (Shantipur)। কারণ, সেখানে বাম কংগ্রেসের জোট থাকবে কি না, তা নিয়ে দুই সংগঠনের নেতৃত্ব আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে স্থির হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, ভবানীপুরের (Bhabanipur) সঙ্গে শান্তিপুরকে (Shantipur) এক করে দেখার কোনও কারণ নেই। ওখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়ছেন বলেই কংগ্রেস প্রাথী দিতে চায়নি। শান্তিপুর নিয়ে সেই ছুঁৎমার্গ থাকবে না, এমনটাই আশা করা যায়। তবে কয়েকদিন আগে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ‘ভোট মিটেছে গিয়েছে, ফলে জোটও শেষ।’ সেই পরিস্থিতিতে জোট নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে নারাজ বাম নেতাদের অনেকে। বরং তাঁরা কংগ্রেসের কোর্টে বল ঠেলে বলেছেন, ‘ওরা আগে জানাক, কী করবে? আমরা তো জোট ভাঙিনি। ওদের ভাগে থাকা ভবানীপুরে ওরাই প্রাথী দিল না।’
উল্লেখ্য, শান্তিপুরে কংগ্রেস প্রাথী ছিলেন আইনজীবী ঋজু ঘোষাল। যিনি দলের অন্দরে রাজনীতিতে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ট বলে পরিচিত। যে চার আসনে উপনির্বাচন হবে, শান্তিপুর বাদে বাকি তিনটে প্রাথী ছিল বামেদের। ফলে ওই তিনটি আসন নিয়ে সমস্যা হবে না বলে দাবি বাম নেতৃত্বের। প্রাথী বাছাইয়ে প্রাথমিকভাবে যা আলোচনা চলছে বামেদের অন্দরে, সেক্ষেত্রে দিনহাটায় প্রাথী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের আব্দুর রউফ। গোসবার আসনে বামেদের হয়ে লড়াই করতে পারেন আরএসপির অনিল চন্দ্র মণ্ডল। খড়দহে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কাস্তে হাতুড়ি তারা চিহ্নে লড়তে পারেন ছাত্র যুব আন্দোলনে নেতা দেবজ্যোতি দাস।
ভবানীপুরে প্রার্থী না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কমান্ড
অধীর চৌধুরী জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কগ্রেস হাই কমান্ডের। দিল্লি থেকেই নির্দেশ আসে যাতে ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস। তিনি এও বলেন, ‘কংগ্রেস কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অধীনে আমি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অধীনেই প্রত্যেকটা পার্টি কর্মী। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলেছে মমতার বিরুদ্ধে লড়াই করো না। তাই আমরা করছি না। সাধারণ কগ্রেস কর্মীদের বা সমর্থকদেরও দিল্লির সেই বার্তা বোঝা উচিৎ।’
জোট শেষের বার্তা দিয়েছেন ইয়েচুরি
কিছুদিন আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘ইলেকশন ছিল, মোর্চা ছিল। ইলেকশন শেষ, মোর্চাও শেষ।’ এর পর উদাহরণ টেনে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জনতা পার্টি এসেছিল ইন্দিরা গান্ধীকে হারাতে। হারিয়ে দিল তারপর জনতা পার্টি শেষ। ইমিডিয়েট পারপাসের জন্য ফ্রন্ট তৈরি হয়। ইভেন্ট শেষ হলে পারপাস থাকে না।’
আরও পড়ুন: West Bengal Weather Live Update: দুর্যোগ-দুর্বিপাকে বাংলা! কবে মিলবে মুক্তি?